আগামী একমাস জুড়ে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন স্কুলে এই টিকা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ফিরহাদ। ছবি: সংগৃহীত।
সোমবার থেকে হাম ও রুবেলার টিকাকরণ কর্মসূচির সূচনা হয়েছে। কলকাতা পুরসভার ৮২ নম্বর ওয়ার্ডে এই কর্মসূচির সূচনা করলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। সোমবার সকালে চেতলা গার্লস স্কুলে যান তিনি। সেখানেই এই কর্মসূচির সূচনা করেন তিনি। প্রসঙ্গত, ৮২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে নির্বাচিত হয়েই কলকাতার মেয়র হয়েছেন ফিরহাদ। তাই নিজের ওয়ার্ড থেকেই এই কর্মসূচির সূচনা করলেন তিনি। আগামী একমাস জুড়ে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন স্কুলে এই টিকা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ফিরহাদ। তিনি জানিয়েছেন, এই টিকাকরণ কর্মসূচি শুরু হয়েছে ৯ জানুয়ারি সোমবার। চলবে ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
শিশু ও কিশোরদের ক্ষেত্রে হাম এবং রুবেলা খুবই বিপজ্জনক অসুখ। সঠিক সময় চিকিৎসা করাতে না পারলে এই রোগে মৃত্যুও হতে পারে। তাই টিকা দিয়েই এই রোগগুলিকে প্রতিরোধ করার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছে স্বাস্থ্যভবন। গ্রামীণ ক্ষেত্রে এই রোগের টিকাকরণ নিয়ে প্রচারের ক্ষেত্রে বেশকিছু নেতিবাচক রিপোর্টও হাতে এসেছে রাজ্য সরকারের। তাই স্কুলগুলিকে কাজে লাগিয়ে গ্রামীণ জনতার নেতিবাচক মনোভাব দুর করতে চায় রাজ্য। কলকাতায় যেমন এই টিকাকরণ কর্মসূচিতে উৎসাহ দিতে এগিয়ে এসেছেন মেয়র। তেমনই গ্রামীণ জেলাগুলিতে সাংসদ, বিধায়ক, মন্ত্রী, জেলা সভাধিপতি, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান-সহ বিশিষ্টজনেদের সামিল করতে বলা হয়েছে।
গ্রামীণ ক্ষেত্রে এই টিকাকরণ সঠিক ভাবে কার্যকর করতে, হাম ও রুবেলা টিকা কর্মসূচিতে গ্রামীণ চিকিৎসা ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্তদের সাহায্য চাইছে রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যে গ্রামীণ ‘মেডিক্যাল প্র্যাকটিশনার’দের সাহায্য নিতে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। কারণ, গ্রামীণ জনতার উপর এই ‘মেডিক্যাল প্র্যাকটিশনার’দের প্রভাব রয়েছে। সেই কারণে টিকাকরণে ১০০ শতাংশ সাফল্য পেতে ওই চিকিৎসকদের যুক্ত করা হচ্ছে।
এ ছাড়াও হাম ও রুবেলা টিকাকরণের জন্য স্কুলে স্কুলে গিয়ে অভিভাবকদের সঙ্গে বৈঠক করবেন স্বাস্থ্যকর্তারা। সেই বৈঠকে এই চিকিৎসকদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। টিকাকরণ কর্মসূচি রূপায়ণে জনজাতির নেতৃত্ব ও স্থানীয় ধর্মগুরুদের একটি বড় ভূমিকা থাকে। তাঁদের সঙ্গে স্থানীয় প্রশাসনকে যোগাযোগ করে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে অনুরোধ করা হবে। টিকা নেওয়ার পর জ্বর, ব্যথা এবং র্যাশ বের হওয়ার মতো কিছু স্বাভাবিক উপসর্গ দেখা দেয়। এমন উপসর্গ দেখা গেলে গ্রামীণ চিকিৎসকেরাই শিশুদের প্রাথমিক চিকিৎসা করবেন। জেলার স্বাস্থ্য প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, প্রাথমিক চিকিৎসার পর কোনও ঝুঁকি না নিয়ে দ্রুত সংশ্লিষ্ট সরকারি হাসপাতালে শিশুদের পাঠিয়ে দিতে হবে। হাম ও রুবেলার টিকাকরণ নিয়ে কোনও ঝুঁকি নিতে নারাজ রাজ্য।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy