কামদুনি-কাণ্ডে সাজাপ্রাপ্তদের আর্জির শুনানি ডিসেম্বরের শুরুতে হবে বলে জানিয়েছে হাই কোর্ট। প্রতীকী ছবি।
কামদুনি গণধর্ষণ-কাণ্ডে সাজা মকুবের আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন সাজাপ্রাপ্ত ছয় আসামি। সোমবার সেই আবেদন শুনেছে উচ্চ আদালত। ডিসেম্বর মাসের প্রথম দিকে এই মামলার শুনানি শুরু হবে বলে জানিয়েছে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ।
২০১৬ সালে কামদুনি মামলায় রায় ঘোষণা করেছিল নগর দায়রা আদালত। এই ঘটনায় মোট অভিযুক্ত ন’জন। তাঁদের মধ্যে বিচারপ্রক্রিয়া চলাকালীন গোপাল নস্কর নামে এক অভিযুক্তের মৃত্যু হয়। অন্য দুই অভিযুক্ত রফিক গাজি ও নুর আলিকে বেকসুর খালাস করা হয়। বাকি ছয় জন সইফুল আলি মোল্লা, আনসার আলি মোল্লা, আমিন আলি, ইমানুল হক, ভোলানাথ নস্কর ও আমিনুল ইসলামকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল।
দোষীদের মধ্যে আনসার, সইফুল ও আমিনের ফাঁসির সাজা দেওয়া হয়। যাবজ্জীবন সাজা দেওয়া হয় ইমানুল, ভোলানাথ ও আমিনুরকে। সম্প্রতি হাই কোর্টে দোষীদের মধ্যে ছয় জনের সাজা মকুব করা আবেদন জানান সাজাপ্রাপ্তদের আইনজীবীরা। একই সঙ্গে আবেদনপত্রে জানানো হয়েছে, এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত আনসার নন, সইফুল। এই যুক্তিকে সামনে রেখে পাঁচ জনের সাজা মকুবের আবেদন জানানো হয়েছে। পাশাপাশি সইফুলের প্রাণভিক্ষার আবেদনও করা হয়েছে।
রাজ্যের তরফে সোমবার আদালতে ছিলেন আইনজীবী নেগিভ আহমেদ। নির্যাতিতার পরিবারের তরফে ছিলেন আইনজীবী জয়ন্তনারায়ণ চট্টোপাধ্যায়। আসামি পক্ষের আইনজীবী হিসাবে ছিলেন ওয়াই জে দস্তুর, ফিরোজ এডুলজি এবং সঞ্জীব দাঁ। আদালতে হাজির ছিলেন মৌসুমী কয়াল এবং নির্যাতিতার ভাইয়েরা। ছিলেন কামদুনির মাস্টারমশাই প্রদীপ মুখোপাধ্যায়ও।
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের ৭ জুন কলেজ ফেরত এক ছাত্রীকে গণধর্ষণ করে খুনের ঘটনা ঘটে কামদুনিতে। এই ঘটনা ঘিরে তোলপাড় পড়ে গিয়েছিল রাজ্য রাজনীতিতে। ঘটনার তদন্তভার নিয়েছিল সিআইডি। কামদুনি-কাণ্ডে প্রতিবাদে সরব হয়েছিলেন মৌসুমী ও টুম্পা কয়াল। ঘটনার নয় বছর পর আবার চর্চায় কামদুনি-কাণ্ড।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy