Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

বাপ-বেটা লুকোচুরি, মুকুলকে কটাক্ষ খাদ্যমন্ত্রীর

রানি রাসমণির সেই সভায় অনুপস্থিতির পর থেকে শুভ্রাংশু অবশ্য যোগাযোগের বাইরে। তাঁর ফোন হয় বন্ধ বা পরিষেবা সীমার বাইরে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ নভেম্বর ২০১৭ ০৩:২১
Share: Save:

এত দিন মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে তোপ দাগা চলছিলই তৃণমূল। এ বার তাঁর পুত্র, দলীয় বিধায়ক শুভ্রাংশুকেও নিশানা করল তৃণমূল! বর্ধমানে গিয়ে শুক্রবার তৃণমূলের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পর্যবেক্ষক জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেছেন, ‘‘বাবা আর ছেলের লড়াই হচ্ছে, এটা বিশ্বাস করা যায় না! এটা বাপ আর ছেলের লুকোচুরি খেলা হতে পারে! তুই তৃণমূলে থাক, আমি বিজেপি-তে যাই!’’ খাদ্যমন্ত্রীর আরও মন্তব্য, ‘‘কিন্তু এই লুকোচুরি খেলা বেশিদিন চলতে পারে না। ওরা মানুষের কাছে ধরা পড়ে গিয়েছে।’’

বিজেপি-র মুকুলের মোকাবিলায় তাঁর বিধায়ক-পুত্র শুভ্রাংশুকে দিয়েই গোটা উত্তর ২৪ পরগনা জেলা জুড়ে বক্তৃতা করানোর পরিকল্পনা নিয়েছিল তৃণমূল। কিন্তু জল্পনা বাড়িয়ে গত সোমবার রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে যুব তৃণমূলের সভায় শুভ্রাংশু যাননি। তার পরে জ্যোতিপ্রিয়র মন্তব্য আরও জল্পনা উস্কে দিয়েছে, তবে কি তৃণমূলে দিন ফুরোচ্ছে শুভ্রাংশুর? বাবার মতো তাঁকেও কি বিজেপি-তে পা বাড়াতে হবে? জ্যোতিপ্রিয়ের মন্তব্যকে গুরুত্ব না দিয়ে মুকুলের কটাক্ষ, ‘‘বাচ্চা বাচ্চা ছেলেদের কথায় কোনও মন্তব্য করব না।’’ আর শুভ্রাংশু প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, বীজপুরের বিধায়ক সাবালক। রাজনীতিতে আসার সিদ্ধান্ত তিনি নিজেই নিয়েছিলেন। নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হলে শুভ্রাংশুই নেবেন। মুকুলের বরং পাল্টা প্রশ্ন, ‘‘গ্বালিয়ারের রাজমাতা সিন্ধিয়া বিজেপির ছিলেন। তাঁর ছেলে মাধবরাও যখন ক‌ংগ্রেসের হয়ে লড়তে গিয়েছিলেন, তখন কি কেউ বোঝাপড়া নিয়ে বলতে গিয়েছিল?’’

রানি রাসমণির সেই সভায় অনুপস্থিতির পর থেকে শুভ্রাংশু অবশ্য যোগাযোগের বাইরে। তাঁর ফোন হয় বন্ধ বা পরিষেবা সীমার বাইরে। চেষ্টা করে শুভ্রাংশুর সঙ্গে এ দিনও ফোনে বা হোয়াট্সঅ্যাপে যোগাযোগ করা যায়নি।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE