Advertisement
১১ অক্টোবর ২০২৪
Junior Doctors' Movement

ত্রিধারায় স্লোগানে ধৃতদের মধ্যে পাঁচ জনই যাদবপুরের পড়ুয়া! ‘পুলিশি জুলুম’-এর নিন্দায় অধ্যাপক সংগঠন

ত্রিধারার পুজোয় গিয়ে স্লোগান-বিতর্কে ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জুটার দাবি, ধৃতদের মধ্যে পাঁচ জনই যাদবপুরের পড়ুয়া। তাঁদের গ্রেফতারিকে ‘পুলিশি জুলুম’ হিসাবেই দেখছে অধ্যাপক সংগঠন।

(বাঁ দিকে) স্লোগান বিতর্কে ধৃত ৯ জন প্রিজ়ন ভ্যানে এবং বৃহস্পতিবার আদালতে পেশ করার সময় বিক্ষোভ (ডান দিকে)।

(বাঁ দিকে) স্লোগান বিতর্কে ধৃত ৯ জন প্রিজ়ন ভ্যানে এবং বৃহস্পতিবার আদালতে পেশ করার সময় বিক্ষোভ (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ অক্টোবর ২০২৪ ১২:৪৩
Share: Save:

ত্রিধারা সম্মেলনীর পুজোয় গিয়ে ‘বিচার চাই’ স্লোগান তুলে গ্রেফতার হয়েছেন ন’জন। আদালত থেকে জামিন মেলেনি। সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ত্রিধারায় স্লোগান তোলার ঘটনায় গ্রেফতারির প্রতিবাদে এ বার সরব যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি (জুটা)। ধৃতদের মধ্যে পাঁচ জন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে শিক্ষক সংগঠন। স্লোগান দেওয়ার কারণে গ্রেফতারির ঘটনাকে ‘শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদে পুলিশি জুলুম’ হিসেবে ব্যাখ্যা করছে তারা। বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের সুবিচার নিশ্চিত করতে সব রকম ভাবে পাশে থাকার বার্তা দিয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।

ত্রিধারায় স্লোগানকাণ্ডে সুজয় মণ্ডল, উত্তরণ সাহা রায়, কুশল কর, জহর সরকার, সাগ্নিক মুখোপাধ্যায়, নাদিম হাজারি, ঋতব্রত মল্লিক, চন্দ্রচূড় চৌধুরী এবং দৃপ্তমান ঘোষকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। যাদবপুরের অধ্যাপক সংগঠনের দাবি, ধৃতদের মধ্যে পাঁচ জনই— নাদিম হাজারি, উত্তরণ সাহা রায়, দীপ্তমান ঘোষ, চন্দ্রচূড় চৌধুরী এবং সুজয় মণ্ডল বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠরত। বিবৃতিতে অধ্যাপক সংগঠন বলেছে, “আমরা প্রিয় ছাত্রদের ন্যায়বিচারের জন্য সর্বতোভাবে পাশে আছি এবং এই চলমান আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী সকলের কাছে পাশে থাকার আবেদন জানাচ্ছি।”

জুটার সাধারণ সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায় গ্রেফতারির প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, “এই রাজ্যে মানুষ কী বলবে , কী ভাবে বলবে, কী খাবে, কী পরবে— এই সবই এ বার সরকারই ঠিক করে দেবে — কেউ অবাধ্য হলেই মিথ্যা মামলায় অভিযুক্তও করা হবে। বাচ্চা বাচ্চা ছাত্রদেরও দাঙ্গা লাগানোয় অভিযুক্ত ভয়ঙ্কর অপরাধী বানিয়ে দেবে। এগিয়ে থাকা বাংলায় আজ মানুষের বাক্‌স্বাধীনতাও নেই ।”

বৃহস্পতিবারই ধৃতদের আলিপুর আদালতে পেশ করা হয়েছিল। তখন রাজ্যের আইনজীবী আদালতে জানিয়েছিলেন, ধৃতদের কেউই ডাক্তার নন। পাশাপাশি পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ করেনি বলেও জানান রাজ্যের আইনজীবী। বরং, বিট্টুকুমার ঝাঁ নামে এক জনের অভিযোগের প্রেক্ষিতেই এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল। ভিড়ের মধ্যে কোনও দুর্ঘটনা ঘটে গেলে কী হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন অভিযোগকারী। আদালতে পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের হোয়াটস্‌অ্যাপ চ্যাটে দেখা গিয়েছে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবেই ওই স্লোগান দেওয়া হয়েছিল। ধৃতেরা জামিন পেলে অন্য পুজো মণ্ডপেও একই ধরনের ঘটনা ঘটবে বলে সন্দেহ পুলিশের।

প্রসঙ্গত, আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারেরাও ধৃতদের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়েছে। শুক্রবার ভোরে জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিনিধি দেবাশিস হালদার ত্রিধারার গ্রেফতারির নিন্দা জানিয়ে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। ধৃতদের পরিবারের সঙ্গেও শুক্রবার দেখা করতে যাওয়ার কথা রয়েছে ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টর্‌স’ ফ্রন্ট-এর প্রতিনিধিদলের।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE