প্রতীকী ছবি
করোনা আবহে আদালতের কাজকর্ম বিঘ্নিত হয়েছে। বিচারপ্রক্রিয়ার গতি কমায় ভিড় বেড়েছে সংশোধনাগারে। তারই মাঝে প্রযুক্তির সাহায্যে বিচার প্রক্রিয়ায় কিছুটা গতি এনে পথ দেখাচ্ছে শহর লাগোয়া একটি সংশোধনাগার।
ভিডিয়ো বৈঠকের ক্ষেত্রেও বিভিন্ন জেলা আদালতে বিচারককে উপস্থিত থাকতে হয়। করোনা পরিস্থিতিতে তা অনেক সময় বিঘ্নিত হয়েছে। অ্যাপ ব্যবহার করে একটি সংশোধনাগার সেই সমস্যা সামলেছে বলে দাবি কারা দফতরের। অ্যাপের মাধ্যমে বিচারপ্রক্রিয়ায় আদালতের নির্দেশে ইতিমধ্যেই জামিন পেয়েছেন অনেক বন্দি অভিযুক্তই। ফলে ওই সংশোধনাগারে ভিড়ও অনেকটা কমেছে। সশরীরে হাজিরা বর্তমান পরিস্থিতিতে ঝুঁকিপূর্ণ, তা মানছেন অনেকেই। সেই পরিস্থিতিতে এই অ্যাপের ব্যবহারে সশীরের হাজিরার ঝুঁকিও এড়ানো যাবে বলে মত তাঁদের। ইতিমধ্যে দণ্ডিত এবং বিচারাধীন বন্দিদের অনেকে তিন মাসের প্যারোল এবং অন্তবর্তী জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। তা সংশোধনাগারে ভিড় কমাতে সহায়ক হয়েছে বলে দাবি কারা দফতরের।
বিচারকদের ব্যক্তিগত ল্যাপটপ বা ডেস্কটপে অ্যাপটি ব্যবহার করা যেতে পারে। সেই সুবিধাই বিচার প্রক্রিয়ার গতি বাড়াতে সাহায্য করেছে। দফতরের প্রযুক্তির দায়িত্বপ্রাপ্তদের সঙ্গে কথা বলেন সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ। তার পরে সর্বভারতীয় স্তরের দায়িত্বপ্রাপ্তদের সঙ্গেও কথা বলেন কারা দফতরের প্রযুক্তি কর্মীরা। সর্বভারতীয় স্তরের আলোচনা-আশ্বাস আসার পরে ওই অ্যাপটি ব্যবহার শুরু হয় বলে খবর। সাধারণত, জামিন সংক্রান্ত বিষয় অগ্রাধিকার পেয়েছে বলে খবর। পরের ধাপে আরও কয়েকটি বিচার প্রক্রিয়ার সঙ্গে অ্যাপটির যোগাযোগ বাড়তে পারে। অ্যাপের মাধ্যমে বিচার প্রক্রিয়া চললেও প্রয়োজনীয় নথিপত্র সংশোধনাগার এবং বিচারকের কাছে পৌঁছেছে। সে ক্ষেত্রে সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ এবং পুলিশ সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছে।
ভিডিয়ো বৈঠকের মাধ্যমে বিচারপ্রক্রিয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট আদালতের সঙ্গে কথা বলে উদ্যোগ নেওয়ার জন্য রাজ্যের সব সংশোধনাগারের কাছে কয়েক দিন আগে নির্দেশ পাঠিয়েছে কারা দফতর। সেই নির্দেশ কার্যকর করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানাচ্ছেন কয়েকটি জেল কর্তৃপক্ষ। কোথাও কোথাও অবশ্য ভিডিয়ো বৈঠকের বিচারে ইন্টারনেট বাধা সৃষ্টি করেছে বলে কারা দফতর সূত্রে খবর।
তবে অ্যাপ ব্যবহার করে বিচার প্রক্রিয়ার গতি বজায় রাখার জন্য ওই সংশোধনাগারের ভূমিকা প্রশংসনীয় বলে মত কারা দফতরের বিভিন্ন আধিকারিকদের। এক আধিকারিকের মতে, ‘‘নির্দেশ কিংবা সিদ্ধান্ত, তার দিকে তাকিয়ে থাকেন অনেকে। আবার অনেকে থাকেন, যাঁরা নিজেরা উদ্যোগ নেন। ওই সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ সেই কাজই করেছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy