Advertisement
২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

বাক্‌স্বাধীনতা রক্ষার আর্জি যাদবপুরে

ক্যাম্পাসে প্রত্যেকে যাতে মুক্ত পরিবেশে মত প্রকাশ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করার জন্য কর্তৃপক্ষের তরফে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব পক্ষের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে।

ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৩:৫৩
Share: Save:

কয়েক দিন আগে ক্যাম্পাসে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কে ঘিরে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যাপক গোলমাল বেধেছিল। তার ঠিক সাত দিনের মাথায় ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে শান্তি এবং গণতান্ত্রিক পরিবেশ রক্ষার আবেদন জানালেন কর্তৃপক্ষ। সেই সঙ্গেই আবেদন জানানো হয়েছে, সকলের বাক্‌স্বাধীনতা যাতে অটুট থাকে, তা নিশ্চিত করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সব পক্ষের কাছে একযোগে এই আবেদন জানিয়েছেন উপাচার্য, দুই সহ-উপাচার্য এবং রেজিস্ট্রার।

ক্যাম্পাসে প্রত্যেকে যাতে মুক্ত পরিবেশে মত প্রকাশ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করার জন্য কর্তৃপক্ষের তরফে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব পক্ষের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে। বলা হয়েছে, অন্য কেউ যাতে এতে বাধা না-দেয়, দেখতে হবে সেটাও। যাদবপুরের মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গণতান্ত্রিক ঐতিহ্য বজায় রাখতেই এটা প্রয়োজন বলে উল্লেখ করা হয়েছে কর্তৃপক্ষের ওই আবেদনে।

১৯ সেপ্টেম্বর যাদবপুরে এবিভিপি-র এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে প্রবল ছাত্র-বিক্ষোভের মুখে পড়েন বাবুল। পড়ুয়ারা তাঁকে রীতিমতো আটক করে রাখেন। পড়ুয়াদের হাতে তিনি নিগৃহীত হয়েছেন বলেও অভিযোগ ওঠে। স্বাভাবিক ভাবেই বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন ওঠে, বাবুল যাদবপুর ক্যাম্পাসে কোনও অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে আদৌ বাধা পাবেন কেন?

দু’দিন আগেই কর্তৃপক্ষের
তরফে জানানো হয়েছিল, যাদবপুর ক্যাম্পাসে রাজনীতিবিদ এনে অনুষ্ঠান করার বিষয়ে কিছু বিধিনিষেধ
চালু করার কথা ভাবা হচ্ছে। তাতে আপত্তি তুলেছিল এসএফআই। ওই ছাত্র সংগঠনের নেতা দেবরাজ দেবনাথের বক্তব্য ছিল, বিশ্ববিদ্যালয়ে সকলের প্রবেশের অধিকার থাকুক, সেটাই তাঁরা চান। তাই ঢুকতে
দেওয়ার ক্ষেত্রে মানদণ্ড কী হবে, তা তাঁদের জানাতে হবে। তবে ‘দাঙ্গাবাজেরা’ ঢুকতে চাইলে তাঁরা বাধা দেবেন। এই পরিপ্রেক্ষিতেই এ দিন কর্তৃপক্ষ নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করলেন।

রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু বলেন, ‘‘রাজনীতিবিদ এনে অনুষ্ঠান করার বিষয়ে কিছু বিধিনিষেধ চালু করার কথা চিন্তাভাবনার স্তরে ছিল। আপাতত বিষয়টি নিয়ে ভাবা হচ্ছে না। সবার আগে ক্যাম্পাসে গণতান্ত্রিক পরিবেশ এবং বাক্‌স্বাধীনতা নিশ্চিত করাই প্রধান কাজ।’’

১৯ সেপ্টেম্বর ক্যাম্পাসে গেরুয়া বাহিনীর আক্রমণে ক্ষতি হয়েছিল কলা বিভাগের ইউনিয়ন রুমেরও। দেওয়ালে লিখে দেওয়া হয়েছিল ‘এবিভিপি’। কম্পিউটার-সহ বেশ কিছু জিনিস নষ্ট করা হয়েছিল। কলা বিভাগ ডিন অব স্টুডেন্টসকে হিসেব দিয়ে জানিয়েছে, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ চার লক্ষ টাকারও বেশি।

অন্য বিষয়গুলি:

JU Jadavpur University Babul Supriyo
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy