তরুণ মুখ কানহাইয়া কুমার ও জিগ্নেশ মেভানিকে শহরে এনে বিজেপি-বিরোধিতার সুর চড়াতে চাইছে সিপিআই।
আদালতের স্থগিতাদেশে আপাতত থমকে থাকলেও রথযাত্রা করে বাংলায় মেরুকরণের উন্মাদনা তৈরি করতে চাইছে বিজেপি। সেই সময়েই দুই তরুণ মুখ কানহাইয়া কুমার ও জিগ্নেশ মেভানিকে শহরে এনে বিজেপি-বিরোধিতার সুর চড়াতে চাইছে সিপিআই।
বিজেপির সাম্প্রদায়িক রাজনীতি এবং রাজ্যে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফেরানোর দাবিতে আগামী ২৬ ডিসেম্বর রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে একক সাংগঠনিক শক্তিতে সমাবেশ করছে বাম শরিক সিপিআই। সেখানেই বক্তৃতা করতে আসার কথা বিহারের ছাত্র নেতা কানহাইয়া ও গুজরাতের বিধায়ক জিগ্নেশের। জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক কানহাইয়ার বিরুদ্ধে ‘দেশদ্রোহিতা’র অভিযোগে সদ্যই খসড়া চার্জশিট তৈরি হয়েছে। তার পরে কলকাতায় কানহাইয়া, জিগ্নেশদের দিয়ে নরেন্দ্র মোদী জমানার বিরুদ্ধে ফের জেহাদ ঘোষণার পরিকল্পনা নিয়েছে সিপিআই। দলের সাধারণ সম্পাদক সুধাকর রেড্ডিরও ওই সমাবেশে থাকার কথা।
সিপিআইয়ের রাজ্য সম্পাদক স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘‘দেশ জুড়ে বিভাজন এবং সাম্প্রদায়িক মেরুকরণের পরিবেশ তৈরি করছে বিজেপি। তাদের নজর এখন এই রাজ্যেও। আবার তৃণমূলের জমানায় রাজ্যে গণতান্ত্রিক পরিবেশ বিপন্ন। এর প্রতিবাদেই আমাদের সমাবেশ।’’ লোকসভা নির্বাচনের আগে এই জমায়েত করে সংগঠনকেও চাঙ্গা করতে চাইছেন স্বপনবাবুরা।
বাংলায় জোড়া প্রতিপক্ষ বিজেপি এবং তৃণমূলের মোকাবিলায় কংগ্রেসের সঙ্গে সমঝোতার প্রশ্নেও সায় দিয়েছেন সিপিআইয়ের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। বিশাখাপত্তনমে দলের জাতীয় কাউন্সিলের বৈঠকে বাংলার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। দলীয় সূত্রের খবর, সেখানেই ঠিক হয়েছে বিজেপি এবং তৃণমূলের বিরুদ্ধে সব ভোটকে এক জায়গায় আনতে হবে। কংগ্রেস রাজি থাকলে তাদের সঙ্গে আলোচনার পথে যেতে সিপিআইয়ের আপত্তি নেই। তবে দলের রাজ্য নেতৃত্ব জানিয়েছেন, গত বিধানসভা ভোটে আসন সমঝোতা নিয়ে কংগ্রেসের সঙ্গে আলোচনা করেছিল শুধু সিপিএম। তাতে আসন ভাগাভাগি নিয়ে ‘অবাঞ্ছিত জটিলতা’ তৈরি হয়েছিল। তাই এ বার হাতে সময় থাকতে বামফ্রন্টের তরফে কংগ্রেসের সঙ্গে আলোচনা চাইছে সিপিআই। যা সীতারাম ইয়েচুরিদের অবস্থানকেই সমর্থন করছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy