বুধবার সকালে নিরঞ্জনের বাড়িতে পুলিশ। ডানদিকে, নিরঞ্জনের দেহের কাছ থেকে পাওয়া সেই সুইসাইড নোট। ফাইল চিত্র।
ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু হত্যার ঘটনায় নয়া মোড়। বুধবার তপনের ঘনিষ্ঠ বন্ধু নিরঞ্জন বৈষ্ণব ওরফে সেফালের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হল তাঁর বাড়ি থেকে। তপনকে হত্যার সময় তাঁর সঙ্গেই ছিলেন সেফাল। বস্তুত, তিনিই ছিলেন তপন হত্যা মামলার একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী। সেফালের মৃত্যুতে পুরুলিয়ার কংগ্রেস নেতা নেপাল মাহাতো অভিযোগ করেছেন, তপনের মতোই এই ঘটনাটিও পুলিশের অত্যাচারেরই আরেকটি নিদর্শন। যদিও সেফালের দেহের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া সেফালের নামে লেখা একটি সুইসাইড নোটে লেখা রয়েছে, কোনও চাপের মুখে নয়, মানসিক অবসাদ সহ্য করতে না পেরেই স্বেচ্ছায় আত্মঘাতী হয়েছেন সেফাল।
তপন হত্যার ঘটনার ইতিমধ্যেই সিবিআই তদন্ত শুরু হয়েছে। এর মধ্যে তপন হত্যায় প্রত্যক্ষদর্শী সেফালকে বেশ কয়েকবার ডেকেও পাঠিয়েছিল পুলিশ। সেফলের দেহের কাছ থেকে পাওয়া সুইসাইড নোটে সে কথা উল্লেখ করে লেখা রয়েছে, ‘যেদিন থেকে তপনের হত্যা হয় সে দিন থেকে আমি মানসিক অবসাদে ভুগছি। যে দৃশ্যটি দেখেছি, তা মাথা থেকে কোনও রকমে বের হচ্ছে না। ফলে রাতে ঘুম হচ্ছে না... তার উপর পুলিশের বারবার ডাক।’ এই সবকিছু মিলিয়েই যে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন সেফাল তা স্পষ্ট করে লেখা রয়েছে ওই সুইসাইড নোটে। বলা হয়েছে, ‘আমি জীবনে থানার চৌকাঠ পার করিনি। এই আমি আর সহ্য করতে পারছি না। ... সে জন্যই এই পথ বেছে নিলাম। এতে কারও কোনও প্ররোচনা নেই।’
তপনের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন নিরঞ্জন। বয়স ৫০-৫২-র মধ্যে। অবিবাহিতই ছিলেন নিরঞ্জন। সন্ধ্যায় প্রায়শই বন্ধুর সঙ্গে হাঁটতে বের হতেন। তপন হত্যার দিনও তিনি ঝালদার কাউন্সিলর তপনের সঙ্গেই ছিলেন। তাঁর সামনেই তপনকে হত্যা করা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy