পঞ্চায়েত নির্বাচনের মুখে বেঁকে বসেছেন ওই প্রকল্পের ২৪ হাজার কর্মীর অধিকাংশই। প্রতীকী ছবি।
ভাতের জন্য ভাতা চাই। কিন্তু তাঁরা নিয়মিত সেই ভাতা পাচ্ছেন না বলে ‘জল জীবন মিশন’ প্রকল্পের কর্মীদের অভিযোগ। পঞ্চায়েত নির্বাচনের মুখে তাই বেঁকে বসেছেন ওই প্রকল্পের ২৪ হাজার কর্মীর অধিকাংশই। ফলে পশ্চিমবঙ্গে ওই কেন্দ্রীয় প্রকল্পের কাজকর্ম প্রায় মুখ থুবড়ে পড়েছে বলে অভিযোগ। প্রমাদ গুনছে রাজ্য সরকার। কারণ, পঞ্চায়েত ভোটে শাসক ও বিরোধী দু’পক্ষেরই প্রচারে হাতিয়ার হতে চলেছে— গ্রামীণ মানুষের ঘরে ঘরে নলবাহিত পানীয় জল। গ্রীষ্মের মুখে সেই জল মিশনের কাজে অচলাবস্থার মোকাবিলায় নবান্ন ইতিমধ্যে জনস্বাস্থ্য দফতরকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশও দিয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর।
দেশ জুড়ে গ্রামীণ এলাকায় প্রতিটি ঘরে নলবাহিত পানীয় জল পৌঁছে দিতে মোদী-জমানার দ্বিতীয় পর্বে শুরু হয় জল জীবন মিশন। রাজ্যে সেই প্রকল্পে কাজ দেখার দায়িত্ব জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের। বিভিন্ন ঠিকাদার সংস্থার মাধ্যমে ওই কেন্দ্রীয় প্রকল্পের কাজে যুক্ত আছেন কমবেশি সাড়ে ২৪ হাজার ভাল্ভ ও পাম্প অপারেটর। জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতরের এক কর্তা জানান, মূলত ওই কর্মীদের হাতেই রয়েছে মিশনের চাবিকাঠি। কারণ তাঁরাই বিভিন্ন এলাকায় নল বসানোর পরে তার ভাল্ভ লাগানো এবং পাম্প বসিয়ে বাড়ি-বাড়ি জল পৌঁছে দেওয়ার মূল দায়িত্ব সামলান। ওই কর্তার কথায়, ‘‘প্রকল্পের মূল কাজটা ওই কর্মীরাই করেন।’’
অভিযোগ, বিভিন্ন ঠিকাদার সংস্থার অধীনে কর্মরত ওই কর্মীদের নির্দিষ্ট বেতন কয়েক বছর ধরেই অনিয়মিত হয়ে পড়েছে। ভাল্ভ ও পাম্প কর্মচারীদের সংগঠন তথা রাজ্যের কর্মচারী ফেডারেশনের নেতা মনোজ চক্রবর্তীর অভিযোগ, ‘‘বিভিন্ন ঠিকাদার সংস্থাই এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী। অনেক লড়াইয়ের পরে ওই কর্মীদের নির্দিষ্ট মাসিক ভাতা, প্রভিডেন্ট ফান্ড এবং ইএসআই বিমার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু অধিকাংশ ঠিকাদার সংস্থা সেই সব খাতে নির্দিষ্ট টাকা দিচ্ছে না।’’ ফলে বিভিন্ন জায়গায় ওই কর্মীরা কাজ না-করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
অচলাবস্থা দূর করতে নবান্নের নির্দেশ পেয়েই জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতরের মুখ্য বাস্তুকারকে এ বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিভাগীয় সচিব। বিরোধী শিবিরের বক্তব্য, এই ডামাডোলের আবহে সেই কাজে কবে কতটা গতি আসবে, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy