মুখোমুখি: সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্যপাল। নিজস্ব চিত্র
বিধিবদ্ধ কাঠামোর মধ্যে থেকে তাঁকে যদি দার্জিলিং পাহাড়ের সমস্যা নিয়ে কিছু জানান হয় তাহলে তা তিনি যথাস্থানে পাঠিয়ে দেওয়ার জন্য বলবেন। সোমবার শিলিগুড়িতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এমনটাই জানালেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। এ দিন সকালে শিলিগুড়ির সশস্ত্র সীমা বলের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার পরে সেখান থেকে শহরের স্টেট গেস্ট হাউসে আসেন রাজ্যপাল। সেখানেই বিকালে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন তিনি।
এ দিন তিনি পাহাড় নিয়ে ওঠা নানা দাবি বা পাহাড় সমস্যার রাজনৈতিক সমাধান নিয়ে সরাসরি কোনও মন্তব্য করেননি। রাজ্যপাল বলেছেন, ‘‘আমার কাছে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রতিনিধি দল আসে। তাঁদের দাবিদাওয়াগুলি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য যথাস্থানে পাঠাই। দার্জিলিং পাহাড় নিয়ে কেউ এলে বা কিছু জানালে আমি অবশ্যই তা দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পাঠিয়ে দেব।’’
পাহাড়ের রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছে, রাজ্যপাল বোঝাতে চেয়েছেন যে দার্জিলিং নিয়ে পাহাড়ের কোনও রাজনৈতিক দল বা কোনওস্তরের প্রতিনিধিরা তাঁর সঙ্গে দেখা করলে তিনি সেই দাবি কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পাঠিয়ে দেবেন। প্রয়োজন হলে তা রাজ্যকেও তিনি জানাতে পারেন বলে মনে করা করছেন তারা। কারণ এ দিন রাজ্যপাল বলেছেন, ‘‘আমার কাছে আসা বিষয়গুলি দেখার পরে তা কেন্দ্রের কাছে না রাজ্যের কাছে পাঠাতে হবে সেটা দেখে আমি চিঠি এবং নোট দিয়ে পাঠিয়ে দিয়ে থাকি। কিন্তু তাতে কী বলি, তা আমি প্রকাশ্যে বলব না। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে এমন অনেক চিঠি আমি দিয়েছি। সেগুলির বিষয়বস্তু আমি বলব না।’’
ঘটনাচক্রে এ দিনই লোকসভায় পাহাড়ের স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধানের জন্য দ্রুত ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের দাবি তুলেছেন দার্জিলিঙের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা। সাংসদ জানিয়েছেন, এ দিন লোকসভায় জিরো আওয়ারে আলোচনার সময় দার্জিলিঙের বিষয়টি তুলেছেন। তাঁর কথায়, ‘‘আমি লোকসভাকে জানিয়েছি, আশির দশক থেকে দফায় দফায় পাহাড় সমস্যা সমাধানের দাবি উঠছে। শেষবার ২০১৭ সালে তা নিয়ে বড় আন্দোলন হয়েছে। আলাদা রাজ্যের দাবিকে সামনে রেখেই আন্দোলন চলছে। পাবর্ত্য পরিষদ এবং জিটিএ- দু’টি সংস্থা তৈরি করেও সমস্যা মেটেনি। উল্টে, তা বিফল হয়েছে। পাহাড়, তরাই এবং ডুয়ার্সকে মিলিয়ে রাজনৈতিক ভাবে স্থায়ী সমাধান দরকার।’’
এ দিন বিজেপি সাংসদ শুধুমাত্র পাহাড়কে ঘিরে দাবির কথা বলেননি। এলাকার একাধিক সীমান্ত, এলাকার স্পর্শকাতরতা, অনুন্নয়নের কথাও বলেছেন। সাংসদ বলেন, ‘‘আমি সরকারকে অনুরোধ করছি, সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে কেন্দ্র রাজ্য এবং স্থানীয় প্রতিনিধিদের নিয়ে দ্রুত ত্রিপাক্ষিক বৈঠক ডাকা হোক। কেন্দ্র তা করবে বলে আমি আশাবাদী।’’
রাজ্যপালের বক্তব্য প্রসঙ্গে মন্ত্রী গৌতম দেব কিছু বলেননি। তবে সাংসদের দাবির বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী নিজে পাহাড়ের বিষয়টি দেখেন। উনি নিয়মিত পাহাড়ে আসেন, সব সময় ভাবেন। জিটিএ এবং সরকার মিলিয়ে উন্নয়নের কাজ করছে। আলাদা রাজ্যের দাবি নতুন করে খুঁচিয়ে পরিস্থিতি অশান্ত করার চেষ্টা হলে মানুষ তা মেনে নেবে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy