Advertisement
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
Jadavpur University

যাদবপুরে অকৃতকার্যকে পাশ করানোর নালিশ

এ দিন ঘটনার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন সহ-উপাচার্য চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য। অভিযোগ, শুধু ওই ছাত্র নয়, আরও বেশ কয়েক জনকে ৫০ নম্বর গ্রেস দিয়ে পাশ করানো হয়েছে।

অভিযোগ করেছেন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক তরুণকান্তি নস্কর।

অভিযোগ করেছেন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক তরুণকান্তি নস্কর। ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৭:৪৯
Share: Save:

স্কুল স্তরে চাকরি বিক্রির অভিযোগ নিয়ে তুমুল তোলপাড়ের মধ্যে কয়েক দিন আগে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়েও টাকার বিনিময়ে প্রাপ্ত নম্বর এবং গ্রেড বদলের অভিযোগ উঠেছিল। বাংলা তথা সারা দেশে উচ্চশিক্ষার ওই অগ্রণী প্রতিষ্ঠানে এ বার ফেল করা ছাত্রকে পাশ করিয়ে দেওয়ার অভিযোগ করলেন এক শিক্ষক।

বস্তুত বিষয়টি আর অভিযোগের স্তরে নেই। কারণ, সহ-উপাচার্য জানিয়েছেন, শুধু ওই ছাত্র নয়, আরও বেশ কয়েক জনকে গ্রেস দিয়ে পাশ করানো হয়েছে। কারণ হিসাবে করোনাকালে সব ছাত্রছাত্রীকে পাশ করিয়ে দেওয়ার জন্য ইউজিসি বা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন নির্দেশ দিয়েছিল বলে জানান সহ-উপাচার্য।

কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের এক ছাত্র প্র্যাক্টিক্যালে একটি বিষয়ের কোনও ক্লাস না-করা সত্ত্বেও তাঁকে পাশ করিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক তরুণকান্তি নস্কর অভিযোগ করেছেন উপাচার্য সুরঞ্জন দাসের কাছে। ওই শিক্ষকের অভিযোগ, ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে ওই ছাত্র দ্বিতীয় বর্ষে থাকাকালীন এক দিনও তাঁর (তরুণকান্তির) ‘কম্পিউটার এডেড ড্রাফটিং’-এর ক্লাস করেননি। তিনি ‘সেশনাল মার্কশিট’-এ লিখে দেন, ওই ছাত্র অনুপস্থিত। ছাত্রটি অকৃতকার্য হন ওই বিষয়ে। তাঁকে পাশ করানোর দাবি জানিয়ে ওই ছাত্র দু’বছর আগে হুমকি দিয়েছিলেন বলে কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন তরুণকান্তি। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, ছাত্রটিকে পাশ করিয়ে দেওয়া হয়েছে।

এ দিন ঘটনার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন সহ-উপাচার্য চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য। অভিযোগ, শুধু ওই ছাত্র নয়, আরও বেশ কয়েক জনকে ৫০ নম্বর গ্রেস দিয়ে পাশ করানো হয়েছে। চিরঞ্জীব জানিয়েছেন, করোনাকালে ২০২০-২১ এবং ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের নির্দেশ ছিল, পড়ুয়াদের সকলকেই পাশ করিয়ে দিতে হবে। ওই ছাত্রটি ২০১৯-২০ সেশনে প্র্যাক্টিক্যাল ক্লাস করেননি এবং ফেল করেন। কিন্তু যখন তাঁর ফল প্রকাশিত হয়, তখন করোনার দাপট শুরু হয়ে গিয়েছে। তখন শুধু ওই ছাত্র নয়, আরও বেশ কয়েক জনকে ৫০ নম্বর গ্রেস দিয়ে পাশ করানো হয়েছে। চিরঞ্জীবের যুক্তি, ‘‘এ বার যদি ওই পড়ুয়াদের আবার ফেল করানো হয়, তা হলে ওরা দু’বছর পিছিয়ে যাবে। ক্ষতিগ্রস্ত হবে ওদের কেরিয়ার। সেটাও খুব বাস্তবসম্মত নয় বলে আমাদের মনে হচ্ছে।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Jadavpur University Student
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy