—ফাইল চিত্র।
আগে শুরু হয়েছিল প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে। এ বার সেই আন্দোলন শুরু হল যাদবপুরেও। পরিবেশ বাঁচাতে পড়ুয়ারা সপ্তাহের এক দিন রাত জাগছেন ক্যাম্পাসে।
আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের লক্ষ্য, ক্যাম্পাসকে সম্পূর্ণ প্লাস্টিকমুক্ত করা, বৃষ্টির জল সংরক্ষণ, বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ভবনে সৌর প্যানেল বসানো। ছ’সপ্তাহ ধরে এই তিন দাবিতে প্রেসিডেন্সির মূল ভবনের সিঁড়ির নীচে সপ্তাহে দু’রাত অবস্থান করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের ছাত্র আরিয়ান অগ্রহরি। যাদবপুরেও দু’সপ্তাহ ধরে এমনই ধর্নী চলছে। শুরু করেছেন আরিয়ানের বন্ধু যাদবপুরের গণিত বিভাগের ছাত্র স্বরূপকুমার দাস। সঙ্গী গণিত বিভাগের রৌনক ঘোষ এবং তুলনামূলক সাহিত্যের সুস্মিতা প্রামাণিক। পরে যোগ দিয়েছেন আরও কয়েক জন পড়ুয়া। বিশ্ববিদ্যালয়ের অরবিন্দ ভবনের পোর্টিকোয় প্রতি বৃহস্পতিবার সারা রাত অবস্থান করছেন তাঁরা।
প্রেসিডেন্সির আরিয়ান জানালেন, ছ’সপ্তাহ ধরে তিনি একাই এই আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। আগামী শুক্রবারেও তিনি অবস্থানে বসবেন। তবে ক্যাম্পাসের ভিতর হয়তো বসতে পারবেন না। তাই ক্যাম্পাসের বাইরে মূল গেটের কাছে বসবেন বলে ঠিক করেছেন। প্রহরীদের কাছে থেকেই আরিয়ান শুনেছেন, কর্তৃপক্ষ চাইছেন না তিনি এ ভাবে সারা রাত ক্যাম্পাসে বসে থাকুন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন অব স্টুডেন্টস অরুণ মাইতি মঙ্গলবার জানান, আরিয়ান যে এই ভাবে অবস্থান চালাচ্ছেন, সেটা তাঁকে জানানো হয়নি। সবটাই তিনি অন্যের মুখে শুনেছেন। তাঁর বক্তব্য, এ ভাবে সারা রাত বসে না-থেকে আরিয়ান তাঁর কাছে আসতে পারতেন। যে-সব বিষয় নিয়ে আরিয়ানের আন্দোলন, তার প্রাসঙ্গিকতা রয়েছে বলে মনে করেন অরুণবাবুও। তিনি বলেন, ‘‘বিশ্ববিদ্যালয় এই সব বিষয়ে যথেষ্ট সচেতন। ক্যাম্পাসে প্লাস্টিক ব্যবহার নিয়ে হোর্ডিং দেওয়া আছে। ২০১৭ সাল থেকে বৃষ্টির জল সংরক্ষণের কাজ চলছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ভবনে চলছে সৌর প্যানেল বসানোর কাজ। তবে প্রেসিডেন্সি হেরিটেজ ভবন। তাই কাজ করতে হচ্ছে অনেক নিয়মবিধি মেনে।’’
যাদবপুর-কর্তৃপক্ষও পড়ুয়াদের এই আন্দোলনের কথা জানতেন না। পড়ুয়ারা আন্দোলনের বিষয় নিয়ে তাঁদের কাছে আসেননি বলেই জানান রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু। তাঁর দাবি, পরিবেশ রক্ষায় কর্তৃপক্ষ অত্যন্ত সচেতন। যাদবপুরের মূল ক্যাম্পাসের কয়েকটি বাড়িতে সৌর প্যানেল বসানো রয়েছে। সল্টলেক ক্যাম্পাসেও তা বসানোর উদ্যোগ চলছে। বৃষ্টির জল সংরক্ষণ নিয়েও কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। সম্প্রতি রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতর থেকেও প্লাস্টিক ব্যবহার নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে তাঁদের কাছে নির্দেশ এসেছে। খুব তাড়াতাড়ি ক্যাম্পাসে প্লাস্টিক ব্যবহার নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি হবে।
কর্তৃপক্ষ যা-ই বলুন, আপাতত দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা আন্দোলন চালিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy