যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়।
গত তালিকায় স্বীকৃতি মেলেনি। উল্টে শুধু খাতায়-কলমে থাকা জিয়ো বিশ্ববিদ্যালয়ের কপালে জুটেছিল উৎকর্ষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিরোপা। আজ কেন্দ্রের পক্ষ থেকে দ্বিতীয় দফায় সম্ভাব্য উৎকর্ষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে জায়গা হয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের। তবে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)-র নিয়ম অনুযায়ী, রাজ্য সরকার ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য প্রয়োজনীয় অনুদানের প্রতিশ্রুতি দিলেই তবেই শংসাপত্র পাবে ওই প্রতিষ্ঠান।
দেশের উৎকর্ষ প্রতিষ্ঠান কোনগুলি, তা ঠিক করতে বছর তিনেক আগে প্রাক্তন নির্বাচন কমিশনার এন গোপালস্বামীর নেতৃত্বে একটি কমিটি গড়ে সরকার। তিন সদস্যের কমিটি গত বার যে দশটি সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তালিকা তৈরি করেছিল তাতে স্থান হয়েছিল যাদবপুরের। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে তিনটি প্রতিষ্ঠানের নাম সরকারি ভাবে ঘোষণা করে কেন্দ্র। ইউজিসি-র বক্তব্য ছিল, পরবর্তী সময়ে ধাপে ধাপে বাকি প্রতিষ্ঠানকেও উৎকর্ষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
আজ কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের পক্ষ থেকে ১৫টি সরকারি ও সমসংখ্যক বেসরকারি উৎকর্ষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকা প্রকাশ করা হয়। যার মধ্যে দু’টি তালিকার প্রথম তিনটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ইতিমধ্যেই শংসাপত্র দিয়ে দিয়েছে সরকার। ফলে নতুন তালিকায় পঞ্চম স্থানে রয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। মন্ত্রক জানিয়েছে, দেশের দু’টি রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয় উৎকর্ষের তালিকায় স্থান পেয়েছে। একটি যাদবপুর এবং অন্যটি চেন্নাইয়ের অন্না বিশ্ববিদ্যালয়। দেশের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় তালিকায় যাদবপুরের স্থান ১২-তে। আর গোটা বিশ্বে ৬৫১-৭০০ শ্রেণিতে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের ওই বিশ্ববিদ্যালয়। মন্ত্রক জানিয়েছে, ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান পরিকাঠামো, শিক্ষক, পাঠ্যসূচি, পড়ুয়াদের চাকরি পাওয়ার হার এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা দেখেই সেটিকে উৎকর্ষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাছা হয়েছে। এ বারের উৎকর্ষ তালিকাতে জায়গা পায়নি দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়। তারা সব শর্ত পূরণ করেনি বলে মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে।
তবে রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলির শংসাপত্র পাওয়ার প্রশ্নে শর্ত রেখেছে কেন্দ্র। মন্ত্রকের বক্তব্য, রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলি তখনই শংসাপত্র পাবে যখন কেন্দ্রের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট রাজ্যও সম-অনুপাতে আর্থিক সাহায্য দেবে। রাজ্য ওই প্রতিষ্ঠানগুলিকে আর্থিক সাহায্য দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলে তবেই কেন্দ্র শংসাপত্র দেবে বলে জানিয়েছে মন্ত্রক। শংসাপত্র পাওয়ার প্রশ্নে অবশ্য আশাবাদী যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস। তাঁর দাবি, রাজ্যের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় আর্থিক সাহায্য পাওয়া যাবে। তিনি বলেন, ‘‘রাজ্যের কাছ থেকে আর্থিক সাহায্য দেওয়ার বিষয়টি মন্ত্রককে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy