যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। —ফাইল চিত্র।
দেশের গবেষণা ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য বেছে নেওয়া হল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে।
দেশ জুড়ে যে ৩২টি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এই লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় সরকার বেছে নিয়েছে, সেগুলির মধ্যে যাদবপুর অন্যতম। রাজ্যের সাহায্যপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে এই রাজ্যে একমাত্র যাদবপুর এই সম্মান পেল। কেন্দ্রীয় সরকারের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউশনাল র্যাঙ্কিং ফ্রেমওয়ার্কে (এনআইআরএফ) যারা সার্বিক ভাবে পরপর দু’বছর ২৫তম স্থানের মধ্যে থাকতে পেরেছে, এমন ২২টি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এই তালিকায় রাখা হয়েছে। যাদবপুর তাদের মধ্যে অন্যতম। এদের ‘হাব’ বলা হবে।
এই ২২টি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বাইরে ‘হাব’ হিসেবে রাখা হয়েছে আরও ১০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে, যারা ‘জাতীয় ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান’ হিসেবে স্বীকৃত। এবং গত দু’বছর টানা এনআইআরএফ র্যাঙ্কিংয়ে সার্বিক ভাবে ২৬ থেকে ৫০-এর মধ্যে রয়েছে। এদের কাছ থেকে গবেষণায় সহায়তা পাবে যে সব প্রতিষ্ঠান, তাদের ‘স্পোক’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
‘স্পোক’ হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে ১৫৫টি উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে। দু’টি ভাগে এদের ভাগ করা হয়েছে। প্রথম ভাগে রয়েছে এনআইআরএফ-এর সার্বিক তালিকায় পর পর দু’বছর প্রথম ২০০-তে থাকা কেন্দ্রীয় এবং রাজ্যের সাহায্যপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলি। দ্বিতীয় ভাগে রয়েছে নির্দিষ্ট কিছু এনআইটি এবং আইআইআইটি (ট্রিপল আইটি)। এর সঙ্গে অন্য আর একটি বিভাগে রাখা হচ্ছে আগের তালিকায় না থাকা কেন্দ্রীয় এবং রাজ্যের সাহায্যপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে।
কেন্দ্রীয় সরকারের ‘অনুসন্ধান ন্যাশনাল রিসার্চ ফাউন্ডেশন’-এর (এএনআরএফ) অধীনে চলবে এই কার্যক্রম। সম্প্রতি দিল্লিতে এই বিষয়ে এএনআরএফ-এর বৈঠকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে যোগ দিয়েছিলেন অন্তর্বর্তী উপাচার্য ভাস্কর গুপ্ত এবং সহ-উপাচার্য অমিতাভ দত্ত। সহ-উপাচার্য শুক্রবার জানালেন, ৩২টি উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এক-একটি ‘হাব’ হিসেবে কাজ করবে। এর অধীনে থাকবে সর্বোচ্চ সাতটি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান (স্পোক)। এরপর ঠিক হবে, কোন কোন উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান যাদবপুরের সঙ্গে ‘স্পোক’ হিসেবে থাকবে। আপাতত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে প্রাথমিক কথাবার্তা হয়েছে বলে তিনি জানান।
সহ-উপাচার্য জানান, ‘স্পোক’ কারা হবে, সে নিয়ে নির্দিষ্ট নির্দেশ আছে। রাজ্যের সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত ন্যূনতম দু’টি বিশ্ববিদ্যালয়কে এই তালিকায় রাখতে হবে। আঞ্চলিক বৈচিত্র মেনে অন্য রাজ্যের অন্তত একটি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে রাখতে হবে। ‘স্পোক’-এর জন্য তৈরি নির্দিষ্ট তালিকায় কোনও উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম না থাকলেও যদি গবেষণা ক্ষেত্রে সেই প্রতিষ্ঠানের সম্ভাবনা থাকে, তা হলে তাকেও যুক্ত করা যাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy