বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্জ়িকিউটিভ কাউন্সিল (ইসি)-এর বৈঠক ডাকতে সোমবার দুপুর ১টা পর্যন্ত কর্তৃপক্ষকে সময় দিয়েছিলেন যাদবপুরের পড়ুয়ারা। সেই সময়সীমা শেষ হওয়ার দেড় ঘণ্টা আগেই বৈঠক ডাকলেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সোমবার দুপুর সাড়ে ১১টায় বৈঠকটি হবে। তবে এটিকে ইসি বৈঠক বলা হচ্ছে না। বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য পড়ুয়াদের দুই প্রতিনিধিকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
তা ছাড়াও এই বৈঠকে যোগ দেওয়ার কথা সহ-উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, ডিন অফ স্টুডেন্টস এবং বিভিন্ন বিভাগের ডিনেদের। রবিবার বৈঠকের কথা জানিয়ে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে মেল করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার। তিনি জানান, যাদবপুরের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য ভাস্কর গুপ্তের নির্দেশেই এই বৈঠক ডাকা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, রবিবার বিকেলে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ভাস্কর। যাদবপুরকাণ্ডের দিন দুয়েক পরেই হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল তাঁকে। তবে ছাড়া পেলেও আপাতত বিশ্ববিদ্যালয়ে যাবেন না যাদবপুরের উপাচার্য। কোনও প্রকার উত্তেজনা কিংবা মানসিক চাপে ভাস্করের শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে পারে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
অন্য দিকে, ইসি বৈঠকে সদর্থক পদক্ষেপ করা না-হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনকে স্তব্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন পড়ুয়ারা। অরবিন্দ ভবনে উপাচার্য, সহ-উপাচার্য, রেজিস্ট্রারের অফিস-সহ বিভিন্ন দফতর ওই দিন বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। তবে পড়ুয়াদের যাতে কোনও অসুবিধা না-হয়, সে কথা মাথায় রেখে ‘কন্ট্রোলার অফ এগ্জ়ামিনেশন’ অফিস এবং বৃত্তি বিভাগ (স্কলারশিপ সেকশন)-কে এর আওতায় রাখা হচ্ছে না। তবে পড়ুয়াদের দেওয়া সময়সীমা শেষ হওয়ার আগেই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বৈঠকের ডাক দেওয়ায় অচলাবস্থা কাটতে পারে বলে আশাবাদী অনেকে।
আরও পড়ুন:
শনিবারই পড়ুয়াদের একটি ইমেল পাঠিয়ে তাঁদের সঙ্গে আলোচনায় বসার কথা বলেছিলেন উপাচার্য। পাশাপাশি, বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাভাবিক পঠনপাঠনের পরিবেশ ফিরিয়ে আনার এবং শিক্ষাঙ্গনে সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক পরিবেশ বজায় রাখার অনুরোধও জানান তিনি। একই মর্মে বার্তা দেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সংগঠন জুটাও। এর পরে সুর ‘নরম’ করেন পড়ুয়ারাও। শনিবারই অসুস্থ উপাচার্যকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন কয়েক জন ছাত্র। ফলে সোমবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ছাত্রদের দাবিদাওয়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন, না কি ছাত্রদের আন্দোলন আরও তীব্র হবে, সে নিয়েই চলছে জল্পনা।