মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে নবান্নে একান্তে বৈঠক করলেন ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। সোমবার সন্ধ্যায় নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে মিনিট ২০ বৈঠক হয়েছে ফুরফুরা শরিফের পিরজাদার। বৈঠকের পরে বাইরে সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে নওশাদ জানিয়েছেন, ভাঙড়ের বিষয় নিয়েই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে নবান্নে পৌঁছেছিলেন তিনি।
নওশাদের অভিযোগ, তাঁর বিধায়ক তহবিলের টাকা যথাযথ ভাবে খরচ করা হচ্ছে না। ভাঙড়-১ এবং ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতি বিধায়ক তহবিলের টাকা খরচ না-করে ফেলে রেখেছে বলে দাবি করেছেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, এ নিয়ে তিনি জেলা প্রশাসনের কাছে তদ্বির করেছিলেন। কিন্তু পরিস্থিতির কোনও বদল হয়নি। এর ফলে ভাঙড়ের জনতার মধ্যে বিধায়ক সম্পর্কে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হচ্ছে বলে দাবি করেছেন নওশাদ। তাঁর কথায়, ‘‘প্রশাসন টাকা খরচ করছে না। আর শাসকদলের লোকজন প্রচার করছে, নওশাদ কোনও কাজ করছে না।’’ আইএসএফ বিধায়কের দাবি, মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে আশ্বস্ত করেছেন।
আরও পড়ুন:
কিন্তু মিনিট ২০ ধরে শুধুই ভাঙড় নিয়ে আলোচনা হল না কি আরও কিছু কথা হয়েছে তা নিয়ে ইতিমধ্যেই জল্পনা শুরু হয়েছে। সোমবার দুপুরেই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে শামিল হয়েছিলেন হলদিয়ার বিধায়ক তাপসী মণ্ডল। একই দিনে মমতার সঙ্গে নওশাদের সাক্ষাতে বাড়তি মাত্রা যোগ হয়েছে। এর আগে শাসকদলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ এক বার খোলাখুলিই নওশাদকে তৃণমূলে শামিল হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কুণালের নাম না-করে সোমবার সেই প্রসঙ্গ তুলে নওশাদ বলেছেন, ‘‘এর আগে তৃণমূলের এক জন নেতা আমার উদ্দেশে কী বলেছিলেন আপনারা জানেন। তাই আমি লুকিয়ে আসিনি। সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েই নবান্নে এসেছি।’’
নওশাদ বোঝাতে চেয়েছেন, তাঁর নবান্নে যাওয়ার নেপথ্যে ‘অন্য’ কোনও বিষয় নেই। তিনি ভাঙড়ের জন্যই গিয়েছিলেন। আইএসএফ বিধায়ক এ-ও বলেন, ‘‘এর পরও যদি বিধায়ক তহবিলের টাকা প্রশাসন খরচ না-করে তা হলে আমি বাড়ি থেকে তিন কোটি টাকা এনে এলাকা উন্নয়নের কাজ করব।’’
রাজনীতিতে এই ধরনের বৈঠক নিয়ে বরাবরই জল্পনা থাকে। কখনও তা সত্যি হয়, আবার কখনও হয় না। তবে নওশাদের সঙ্গে শুধুই ভাঙড় নিয়েই মুখ্যমন্ত্রীর আলোচনা হয়েছে কি না, তা নিয়ে শাসকদল তৃণমূলের মধ্যেও আলোচনা রয়েছে।