ফাইল চিত্র।
রাজনীতির মানুষ হোন বা ছাপোষা আমজনতা, মানুষ প্রথমত এবং শেষত মানুষেরই জন্য। রাজনীতিও মানুষের জন্য। সেই মানুষই যদি না-বাঁচে, তা হলে আর কিসের রাজনীতি!
গঙ্গা-পদ্মার ভাঙন রোধে বিরোধী দলকেও এগিয়ে আসার আবেদন জানাতে গিয়ে মঙ্গলবার বিধানসভায় এই মর্মে মঙ্গল-বার্তা দিলেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। পরে তিনি বলেন, ‘‘বিরোধী দলের বিধায়কেরা যে-নীতি ও আদর্শের সমর্থক, সেই নীতি-আদর্শের সরকারই তো এখন দেশ চালাচ্ছে। বাংলার মানুষের প্রাণ বাঁচাতে কেন্দ্রকে বলা উচিত বিরোধীদেরও।’’
সেচমন্ত্রী জানান, ফুলাহার ও গঙ্গা নদীর মধ্যে আগে প্রায় চার কিলোমিটার দূরত্ব ছিল। নদীর পাড় ভাঙতে ভাঙতে এখন সেই দূরত্ব কমে হয়েছে দেড় কিলোমিটারেরও কম। পার্থ বলেন, ‘‘শমসেরগঞ্জ, রতুয়া খুবই বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে। পদ্মা-গঙ্গা ভাঙনের ফলে মালদহ, মুর্শিদাবাদ, নদিয়ারও মারাত্মক অবস্থা। মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। মানুষ বাঁচলে তবে তো রাজনীতি থাকবে!’’ তিনি আরও জানান, নদীর ভাঙন রোধে উদ্যোগী হতে বলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বার বার চিঠি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। কেন্দ্রের সংশ্লিষ্ট দফতরের মন্ত্রী সেই চিঠির উত্তর দিলেও ভাঙন রোধ প্রকল্পের বাস্তবায়নে কেন্দ্র কোনও রকম সহযোগিতা করছে না।
পার্থের দাবি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী চিঠিতে জানিয়েছেন, তাঁরা ফরাক্কা ব্যারাজকে ৩৪২ কোটি টাকা দিয়েছেন। পার্থের কথায়, ‘‘২০০৫ থেকে ২০১৯— এই ১৫ বছরে মাত্র ৩৪২ কোটি টাকা। সেটাও রাজ্য সরকারকে নয়, দেওয়া হয়েছে ফরাক্কা ব্যারাজ অথরিটিকে। সেই টাকা কী ভাবে খরচ হয়েছে, জানানো হয়নি।’’ শমসেরগঞ্জে ২.৪ কিলোমিটার এলাকায় প্রায় ৩১ কোটি টাকা ব্যয়ে নদীবাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু করেছে রাজ্যের সেচ দফতর। হাওড়ার আমতায় বন্যা নিয়ন্ত্রণে ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল মেজর ইরিগেশন ও ফ্লাড ম্যানেজমেন্ট প্রকল্প’-এ কয়েক কোটি টাকার কাজ চলছে। তার মধ্যে লোয়ার রামপুর খালের কাজ ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে। হুড়হুড়া ও লোয়ার দামোদর খালের কাজ চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy