রাজীম কুমারের ‘রক্ষাকবচ’-এর মেয়াদবৃদ্ধি।
কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের ‘রক্ষাকবচ’ বহাল থাকল আগামী ২৯ জুলাই পর্যন্ত। সোমবার মামলার শুনানির সময় বিচারপতি অন্তবর্তীকালীন স্থগিতাদেশের মেয়াদ বৃদ্ধির নির্দেশ দেন। ফলে এখনই সিবিআই তাঁকে গ্রেফতার করার মতো কড়া পদক্ষেপ করতে পারবে না। তবে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা চাইলে, তাঁকে যে কোনও সময় জেরা করতে পারবেন।
সিবিআইয়ের নোটিসকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন রাজীব কুমার। চিটফান্ড-কাণ্ডে রাজ্য সরকার গঠিত বিশেষ তদন্তকারী দলের (সিট) অন্যতম সদস্য ছিলেন রাজীব। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সিবিআই তদন্ত ভার হাতে নেওয়ার পর, এ বিষয়ে রাজ্যের কাছ থেকে নথিপত্র এবং তদন্তের বিষয়ে জানতে চায়।
এ বিষয়ে রাজ্যের তরফ থেকে ‘সহযোগিতা’ পায়নি বলে অভিযোগ করে সিবিআই। সে কারণে কলকাতা পুলিশের নগরপাল থাকাকালীন রাজীব কুমারকে জেরা করতে উদ্যোগী হন সিবিআইয়ের অফিসারেরা। কিন্তু তিনি সিবিআইকে এড়িয়ে যান বলে অভিযোগ ওঠে।
আরও পড়ুন: বনগাঁ মন্তব্যের জের? হাইকোর্টে বিচারপতির এজলাস বয়কট সরকারি আইনজীবীদের
তা নিয়ে সিবিআইয়ের সঙ্গে রাজীব কুমারের সঙ্গে স্নায়ুর লড়াই শুরু হয়। শেষ পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত বিষয়টি গড়ায়। তার পর সুপ্রিম কোর্ট রাজীব কুমারকে শিলংয়ে সিবিআইয়ের মুখোমুখি হতে নির্দেশ দেয়। সেই সময় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশেই অবশ্য রাজীবের ‘সুরক্ষাকবচ’ বহাল ছিল।
পরে ওই মামলাটি উচ্চ আদালতে উঠলে, তাঁর ‘রক্ষাকবচ’ উঠে যায়। এর পরই সিবিআই তাঁকে নোটিস দিয়ে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে তলব করে। কিন্তু এই নোটিসকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন রাজীব। গত ২২ জুলাই পর্যন্ত রাজীবের সেই ‘রক্ষাকবচ’ বহাল ছিল। এ দিন সেই মামলার শুনানিতে আরও এক সপ্তাহ রক্ষাকবচের মেয়াদ বৃদ্ধি হল। ফলে আপাতত স্বস্তিতে রাজীব কুমার। উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই সিজিও কমপ্লেক্সে রাজীবকে এক দফা জেরা করেছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।
আরও পড়ুন: বাঙালি চন্দ্রকান্তের হাত ধরেই মহাকাশে উড়ল ভারতের চন্দ্রযান-২
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy