—নিজস্ব চিত্র।
আসানসোল পুরভোটে দলে নবাগতদের যাতে প্রার্থী না করা হয়, সে দাবি তুললেন বিজেপি নেতা-কর্মীদের একাংশ। এ নিয়ে দলীয় বিধায়ক লক্ষ্মণ ঘড়ুইয়ের কাছে ক্ষোভ উগরে দিলেন তাঁরা। এমনকি, আসন্ন পুরভোটে নবাগতদের প্রার্থী করা হলে তাঁরা কাজ বন্ধ করারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই ঘটনায় আসানসোলে বিজেপি-র দলীয় কোন্দল প্রকাশ্যে এসে পড়েছে। বিষয়টি বিজেপি-র অভ্যন্তরীণ ব্যাপার বলেও কটাক্ষ করতে ছা়ড়েননি স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।
বুধবার আসানসোলের বরাকরে দলীয় বৈঠক চলাকালীন দলীয় বিধায়ক লক্ষ্মণ ঘড়ুই এর কাছে নিজেদের ক্ষোভের কথা জানান বহু বিজেপি নেতা-কর্মী। কুলটি ব্লকের বিজেপি মহিলা মোর্চার নেত্রী মৌসুমী লায়েক বলেন, ‘‘সিপিএম, তৃণমূলের কাছে যে সমস্ত বিজেপি কর্মীরা মার খেয়ে দলে রয়েছেন, তাঁদের প্রার্থী করা হোক। বহিরাগত বা নবাগত কেউ যেন আসানসোলের পুরভোটে টিকিট না দেওয়া হয়। তা না হলে আমরা ঘরে বসে যাব। কাজ করব না।’’ বিজেপি-র এক নেত্রী শিল্পী রায়ও বলেন, ‘‘দলের যে কর্মীরা মাঠেঘাটে খেটে বিজেপি-কে দাঁড় করিয়েছেন, তাঁদের প্রার্থী করা হোক। তা হলেই আসানসোল পুরসভার ভোটে কুলটি বিধানসভায় ২৮টি ওয়ার্ডে জয় আসবে।’’
‘বিক্ষুব্ধ’দের দাবিকে যথার্থ বলেছেন বিজেপি রাজ্য সম্পাদক লক্ষ্মণ ঘড়ুই। তিনি বলেন,‘‘কর্মীরা যে দাবি তুলেছেন তা ১০০ শতাংশ সঠিক। তবে পুরভোটে যোগ্য প্রার্থী দেওয়া হবে। প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে প্রাথী হওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই বহু কর্মী বায়োডাটা জমা করেছেন। তাঁদের মধ্যে থেকেই বেছে বেছে প্রার্থী করা হবে। তৃণমূলের সঙ্গে লড়াই করে যাঁরা জয়লাভ করতে পারবেন, সে রকম কর্মীদেরই প্রার্থী করা হবে।’’
এ বিষয়ে সরাসরি মন্তব্য না করলেও বিজেপি-কে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূলের জেলা সভাপতি বিধান উপাধ্যায় বলেন, ‘‘এটা ওঁদের পার্টির অভ্যন্তরীণ বিষয়। বিজেপি-তে যাঁরা নেতৃত্ব দিচ্ছেন, তাঁরা কেবল ভাঁওতা দিচ্ছে। ওঁরা বড় বড় ভাষণ দিচ্ছেন। তাই এটা ওঁদের পার্টির ব্যাপার। কে, কাকে প্রার্থী করবেন, তা ওঁরাই জানেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy