ছবি: সংগৃহীত।
তৃণমূলের জনসংযোগ কর্মসূচি ‘বাংলার গর্ব মমতা’র প্রথম দিনই ছিল ঘটনাবহুল। শনিবার রাজ্য ব্যাপী এই কর্মসূচিতে বহু জায়গায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব পৌঁছল হাতাহাতি, বিক্ষোভ আর অবরোধে। তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্য এই সব ঘটনাকে গুরুত্ব দিতে চাননি।
কলকাতায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কেন্দ্র ভবানীপুর থেকে শুরু করে সুন্দরবন, পুরুলিয়া বা দার্জিলিং পর্যন্ত এ দিন এই কর্মসূচি শুরু করেছেন তৃণমূলের বিধায়ক ও পদাধিকারীরা। তবে তিন-চারটি ঘটনায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে আসায় অস্বস্তি তৈরি হয়েছে শাসক দলে। বর্ধমান, দক্ষিণ ২৪ পরগনা বা জলপাইগুড়ির ধূপগুড়িতে আমন্ত্রণ নিয়ে বিবাদে জড়িয়ে পড়েন স্থানীয় গোষ্ঠীতে বিভক্ত নেতা-কর্মীরা। তৃণমূলের এক শীর্ষনেতা বলেন, ‘‘স্থানীয় স্তরে এই মতপার্থক্য থাকতে পারে। তবে দলের পতাকা বা প্রতীকেই সকলের আস্থা রয়েছে।’’
আসানসোলের জামুড়িয়ার কর্মসূচিতে আমন্ত্রণ নিয়ে একটি গোষ্ঠীর রোষের মুখে পড়েন প্রশান্ত কিশোরের সংস্থার কর্মীরাও। বর্ধমানের কাটোয়াতেও কর্মসূচির মঞ্চেই বিবাদে জড়িয়েছে দুই গোষ্ঠী। বিধায়কের সঙ্গে বিরোধ নিয়ে কর্মসূচির মঞ্চেই মুখ খোলেন দলের শহর সভাপতি। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ে এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব একেবারে রাস্তায় এসে পড়ে। দলীয় সূত্রে খবর, কর্মসূচিতে ডাক না পেয়ে ক্যানিং বাসস্ট্যান্ডে বিধায়ক শ্যামল মণ্ডলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন দলের একাংশ। প্রায় আড়াই ঘন্টা পথ অবরোধ করে রাখেন তাঁরা। বিক্ষোভে ছিলেন ক্যানিংয়ের দুই দলীয় পঞ্চায়েতের প্রধান, এক জেলা পরিষদের সদস্য। বিধায়ক অবশ্য বলেন, “এই অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। অভিযোগকারীরা দল বিরোধী কাজ করেছেন। আজও দলের সম্মান নষ্ট করলেন।” পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড়ে বিধায়কের সামনে দলের একাংশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল কর্মীরা।
আরও পড়ুন: চার হাজার টাকায় গর্ভপাত করিয়ে প্রতারণা
দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়েও বিধায়ক রেজ্জাক মোল্লার কর্মসূচিতে অনুপস্থিত ছিলেন আরাবুল ইসলামের লোকেরা। রেজ্জাকের সঙ্গে আরাবুলের বিরোধ বহু দিনের। কর্মসূচি শেষে রেজ্জাক বলেন, ‘‘আমি চিঠি দিয়েছি। ফোন করেছি। তার পরেও কেনও তাঁরা অনুপস্থিত জানি না।’’
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কেন্দ্র ভবানীপুরে এই কর্মসূচিতে ছিলেন দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী, সাংসদ মালা রায় এবং মেয়র ফিরহাদ হাকিম। বেহালা পূর্ব ও পশ্চিম কেন্দ্রে এই কর্মসূচিতে ছিলেন দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। নিজের কেন্দ্র রাসবিহারীতে কর্মসূচি পালন করেন বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। ভবানীপুরে বক্সী বলেন, ‘‘লোকসভা ভোটে যেন দলের মধ্যে ভূমিকম্প হয়ে গেল। মনে হচ্ছিল, কারও বাড়িতে গেলে তিনি ঢুকতে দেবেন না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ সেই অবস্থার বদল ঘটিয়েছে। তাঁর প্রতি মানুষের আস্থাই আমাদের গর্বিত করে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy