গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
পুজোর ছুটির আগেই সরকারি কর্মচারীদের বেতন দেওয়ার উদ্যোগ শুরু হল প্রশাসনের তরফে। এই কাজ দ্রুত সামাধা করতে সরাসরি নবান্ন থেকেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। প্রতি মাসের শেষ তারিখের আগেই সরকারি কর্মচারীরা সেই মাসের বেতন পেয়ে যান। এ বার সেই বেতন পুজোর ছুটি শুরু হওয়ার আগেই দিয়ে দিতে চায় রাজ্য সরকার। তাই অক্টোবর মাসের শুরুতেই সেই মর্মে সরকারি অফিস ও সরকারি স্কুলগুলিতে উদ্যোগ শুরু হয়েছে।
অক্টোবর মাসের প্রথম দিনেই সব সরকারি দফতর ও স্কুলগুলিকে বেতন বিষয়ে বার্তা পাঠানো হয়েছে। সেই বার্তায় বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট দফতরগুলিকে বেতন প্রদানের প্রক্রিয়া সংক্রান্ত যাবতীয় কাজ ৪ অক্টোবরের মধ্যেই শেষ করে ফেলতে হবে। পাশাপাশি, সরকারি স্কুলগুলির প্রধান শিক্ষকদেরও একই বার্তা দেওয়া হয়েছে। বুধবারের মধ্যে অনলাইন স্যালারি পোর্টাল (এওএসএমএস)-এ শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের অক্টোবর মাসের মধ্যে বেতন দেওয়ার কাজ শেষ করে ফেলতে হবে। স্কুলগুলির বেতন মূলত প্রধান শিক্ষকদের নির্দেশে স্কুলের অফিস থেকেই হয়। তাই প্রধান শিক্ষক মারফত স্কুলগুলিকেও দ্রুত এই কাজ শেষ করে ফেলতে বলা হয়েছে। এ বছর শারদোৎসব হবে অক্টোবর মাসের তৃতীয় সপ্তাহে। তাই সরকার পক্ষ চাইছে, তার আগেই যাতে কর্মীদের বেতন দেওয়া যায়।
সাধারণত, বেতন প্রদান সংক্রান্ত কাজ শেষ করতে প্রতি মাসের ১০ তারিখ পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়। কিন্তু এ বার সেই তারিখ প্রায় এক সপ্তাহ এগিয়ে আনা হয়েছে। তাই সরকারি কর্মচারী মহলের ধারণা, অক্টোবরের দ্বিতীয় সপ্তাহেই তাঁরা বেতন পেয়ে যাবেন। সরকারি প্রশাসনের এমন তৎপরতা দেখে খুশি তৃণমূল সমর্থিত কর্মচারী ফেডারেশন। সংগঠনের নেতা প্রতাপ নায়েক বলেন, ‘‘ক্যালেন্ডার অনুযায়ী দুর্গাপুজো ২০ তারিখ থেকে শুরু হলেও, বাঙালি পরিবারে কেনাকাটার কাজ অনেক আগে থেকেই শুরু হয়ে যায়। অনেক সময় সরকারি কর্মচারীদের এর জন্য আর্থিক ভাবে চাপেও পড়তে হয়। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সে কথা মাথায় রেখেই এ মাসে দ্রুত বেতন দেওয়ার চেষ্টা করছেন। এ কথা জানতে পেরেই সরকারি কর্মচারীরা খুশি।’’ এ প্রসঙ্গে বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির নেতা স্বপন মণ্ডল বলেন, ‘‘এই বছর পুজো যেহেতু অক্টোবরের তৃতীয় সপ্তাহে পড়েছে। সেই জন্য বেতন যদি পুজোর আগেই দিয়ে দেওয়া সম্ভব হয়, তা হলে শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের সুবিধা হয়। কারণ, আমরা প্রাপ্য ডিএ থেকে বহু দিন ধরেই বঞ্চিত। আর পুজোয় সময় আর্থিক চাপও থাকে আমাদের উপর।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy