প্রতীকী ছবি।
বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে অসুস্থ বৃদ্ধের পড়ে গিয়ে মৃত্যুর ঘটনায় প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্টে ‘গাফিলতি’ খুঁজে পেল জেলা স্বাস্থ্য দফতর। তবে কার গাফিলতি, কী গাফিলতি, সে বিষয়ে অবশ্য কিছুই উল্লেখ করা হয়নি সেই রিপোর্টে। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক তাপস রায়ের কথায়, “প্রাথমিক রিপোর্টটি সবেমাত্র তৈরি হয়েছে। বিস্তারিত তদন্তের পরে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট তৈরি করা হবে। কার কী গাফিলতি ছিল, কমিটি তা খতিয়ে দেখবে।” জেলা স্বাস্থ্য দফতরের প্রাথমিক রিপোর্ট স্বাস্থ্যভবনে পাঠানো হয়েছে বলে দফতর সূত্রের খবর।
গত শনিবার সন্ধ্যার ওই ঘটনায় রাজ্য জুড়ে শোরগোল পড়ে। অসুস্থ ওই বৃদ্ধের কোভিডের লক্ষণ থাকায় রেফার করা হয়েছিল ব্যারাকপুরের কোভিড হাসপাতালে। কিন্তু বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালের আইশোলেশন ওয়ার্ড থেকে অ্যাম্বুল্যান্সে ওঠার জন্য যেটুকু সাহায্য দরকার ছিল, তা পাননি বৃদ্ধ। তাঁর স্ত্রী ধরে ধরে নিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু হাসপাতালের পুরনো জরুরি বিভাগের সামনে পড়ে যান বছর পঁয়ষট্টির ওই বৃদ্ধ। প্রবল শ্বাসকষ্ট শুরু হয় তাঁর। সেই সময়ে তাঁকে ধরার জন্য এগিয়ে আসেননি কেউ। আধ ঘণ্টা ওই অবস্থায় পড়ে থাকার পরে মারা যান বৃদ্ধ।
তদন্ত কমিটির পর্যবেক্ষণ, হাসপাতাল কোভিড রোগীদের জন্য না হলেও পিপিই ছিল। কোভিড রোগীর জন্য অ্যাম্বুল্যান্সের চালকেরও পিপিই পরে থাকার কথা। এ ক্ষেত্রে তিনি বিশেষ পোশাকে ছিলেন কিনা, থাকলেও কেন এগিয়ে আসেননি, তা তদন্ত করে দেখা হবে বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর। হাসপাতালে পিপিই থাকলে কোনও কর্মী কেন সেই পোশাক পরে রোগীকে অ্যাম্বুল্যান্স পর্যন্ত পৌঁছে দিলেন না, সে প্রশ্ন উঠেছে। যে চিকিৎসক এবং নার্সেরা সে সময়ে ওয়ার্ডে হাজির ছিলেন, তাঁদের ভূমিকাও খতিয়ে দেখা হবে বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর।
(জরুরি ঘোষণা: কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের জন্য কয়েকটি বিশেষ হেল্পলাইন চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই হেল্পলাইন নম্বরগুলিতে ফোন করলে অ্যাম্বুল্যান্স বা টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত পরিষেবা নিয়ে সহায়তা মিলবে। পাশাপাশি থাকছে একটি সার্বিক হেল্পলাইন নম্বরও।
• সার্বিক হেল্পলাইন নম্বর: ১৮০০ ৩১৩ ৪৪৪ ২২২
• টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-২৩৫৭৬০০১
• কোভিড-১৯ আক্রান্তদের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-৪০৯০২৯২৯)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy