Advertisement
০৮ নভেম্বর ২০২৪
MidDayMeal

দুপুরের পাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি ১ টাকারও কম!

কেন্দ্রীয় সরকার মিড ডে মিলের জন্য বরাদ্দ বাড়িয়েছে। সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী, প্রাথমিকে মাথাপিছু বরাদ্দ ৪৮ পয়সা বাড়ানো হয়েছে। উচ্চ প্রাথমিকে বরাদ্দ বেড়েছে মাথাপিছু ৭২ পয়সা।

বরাদ্দ বৃদ্ধির যা হার তাতে পড়ুয়াদের পাতে কী দেওয়া যাবে সেই প্রশ্ন রয়েই গেল।

বরাদ্দ বৃদ্ধির যা হার তাতে পড়ুয়াদের পাতে কী দেওয়া যাবে সেই প্রশ্ন রয়েই গেল। ফাইল ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ অক্টোবর ২০২২ ০৬:২৯
Share: Save:

বরাদ্দ মেরেকেটে পাঁচ টাকা। এই মূল্যবৃদ্ধির বাজারে সেই টাকায় মিড ডে মিলের পাতে কী দেওয়া যায়, তা নিয়ে প্রশ্ন ছিলই। উঠেছিল বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবিও। অবশেষে কেন্দ্রীয় সরকার মিড ডে মিলের জন্য বরাদ্দ বাড়িয়েছে। সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী, প্রাথমিকে মাথাপিছু বরাদ্দ ৪৮ পয়সা বাড়ানো হয়েছে। উচ্চ প্রাথমিকে বরাদ্দ বেড়েছে মাথাপিছু ৭২ পয়সা। ১ অক্টোবর থেকে কার্যকর হওয়া এই নতুন বরাদ্দ অনুযায়ী, প্রাথমিকে মাথাপিছু ৫ টাকা ৪৫ পয়সা এবং উচ্চ প্রাথমিকে ৮ টাকা ১৭ পয়সা বরাদ্দ করবে সরকার। কেন্দ্র এবং রাজ্য ভাগাভাগি করে তা দেবে।

সরকারের এই বরাদ্দ বৃদ্ধি নিয়ে শিক্ষকদের একাংশের বক্তব্য, অগ্নিমূল্যের বাজারে বরাদ্দ বাড়ার অপেক্ষায় ছিলেন তাঁরা। কিন্তু বরাদ্দ বৃদ্ধির যা হার তাতে পড়ুয়াদের পাতে কী দেওয়া যাবে সেই প্রশ্ন রয়েই গেল। প্রাথমিক স্কুলের এক শিক্ষকের প্রশ্ন, ‘‘সাড়ে পাঁচ টাকায় এক বেলার পুষ্টিকর খাবার দেওয়া সম্ভব?’’

মিড মে মিলের ক্ষেত্রে এর আগে বরাদ্দ বেড়েছিল অতিমারি পরিস্থিতিতে। সে বার প্রাথমিক এবং উচ্চ প্রাথমিকে বরাদ্দ বেড়েছিল যথাক্রমে ৪৯ পয়সা এবং ৭২ পয়সা। এ বারও কার্যত একই হারে বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে। যদিও শিক্ষকদের অনেকে বলছেন, গত দু’বছরে মূল্যবৃদ্ধির হার অনেক বেশি। তাই বরাদ্দ আরও বাড়ানো উচিত ছিল।

বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আনন্দ হান্ডা বলেন, “ক্ষুধা তালিকার শীর্ষে ভারত। অপুষ্টিতে ভুগছে লক্ষ লক্ষ শিশু। আমরা বহু দিন ধরে বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবি করছিলাম। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বরাদ্দ বৃদ্ধি দেখে খুবই হতাশ। এখন যা বাজার দর, তাতে ন্যূনতম বরাদ্দ মাথাপিছু ২০ টাকা করার পাশাপাশি পৃথক ভাবে গ্যাস বা জ্বালানির বরাদ্দের দাবি করছি।” শিক্ষকদের একাংশের মতে, কেন্দ্রীয় সরকার স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসবের ঢাক বাজাচ্ছে। অথচ সাধারণ মানুষের শিক্ষা এবং পুষ্টি নিয়ে আদৌ ভাবছে না।

আনন্দের মতে, অতিমারির পরে বহু গরিব পড়ুয়ার বাবা-মা কাজ হারিয়েছেন। অনেক পড়ুয়াই এখন স্কুলে আর টিফিন আনতে পারে না। তারা মিড ডে মিলের উপরে নির্ভর করে। কলেজিয়াম অফ অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমাস্টার্স অ্যান্ড অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমিস্ট্রেসেস-এর সম্পাদক সৌদীপ্ত দাসও বলেন ‘‘বরাদ্দ আরও বাড়ানোর দরকার ছিল।’’ সর্বশিক্ষা মিশনের কলকাতার চেয়ারম্যান কার্তিক মান্নার কথায়, “এই বরাদ্দ বাড়া দেখে বোঝা যায় মোদী সরকার মিড ডে মিলের বিষয়টা নিয়ে কতটা উদাসীন। এই নিয়ে ছেলেখেলা করছে তারা। বাস্তবে যা আনাজপাতির দাম তার সঙ্গে বরাদ্দ বাড়ানোর কোনও সামঞ্জস্য নেই।’’

অন্য বিষয়গুলি:

MidDayMeal Allocation
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE