—প্রতীকী ছবি।
পড়ুয়া ও শিক্ষক অনুপাতে ভারসাম্য আনতে বদলি করা হল ২৮৭৩ জন প্রাথমিক স্কুলশিক্ষককে। শুক্রবার এই নির্দেশ জারি করেছে স্কুলশিক্ষা দফতর। সূত্রের খবর, ডুয়ার্স, রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চল এবং সুন্দরবনের অনেক স্কুলেই শিক্ষকের ঘাটতি রয়েছে। ওই স্কুলগুলির জন্য এঁদের বদলি করা হয়েছে। বদলি হওয়া শিক্ষকেরা ওই তিনটি অঞ্চলেই কর্মরত। সূত্রের খবর, ৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের নতুন স্কুলে যোগ দিতে হবে।
তাই কাল, সোমবার, ৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বদলির নির্দেশ শিক্ষকদের দিতে বলা হয়েছে।
এই বদলির নির্দেশ জারির তারিখ বিভ্রান্তি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। তাঁদের মতে, এমন গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশিকার তারিখ ভুল থাকা কাম্য নয়। বিকাশ ভবনের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘তাড়াহুড়ো করে নির্দেশিকা জারি করতে গিয়ে তারিখ ভুল লেখা হয়েছে।’’ প্রসঙ্গত, স্কুলে-স্কুলে শিক্ষক এবং পড়ুয়ার অনুপাতের হিসেব আগেই শুরু হয়েছিল।
গত মঙ্গলবার জেলা স্কুল পরিদর্শকদের সঙ্গে বৈঠকে শিক্ষক পাঠানোর কাজ শুরু না-হওয়ায় শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ক্ষোভও প্রকাশ করেন বলে খবর।
কয়েক দিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্নে শিক্ষা বৈঠকে সুন্দরবন, ঝাড়গ্রাম, মেদিনীপুরের পশ্চিমাঞ্চলের কিছুটা এবং ডুয়ার্সের কিছু স্কুলে শিক্ষক না-থাকার সমস্যার কথা বলেছিলেন। সেই প্রসঙ্গেই সদ্য স্নাতকদের ‘শিক্ষক–ইন্টার্ন’ হিসেবে নিয়োগের ভাবনার কথা জানান। সম্প্রতি শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও জানিয়েছিলেন, বহু স্কুলে শিক্ষকের তুলনায় পড়ুয়া কম। আবার কোথাও পড়ুয়ার তুলনায় শিক্ষক বেশি। সেই বিষয়ে ভারসাম্য আনা হবে। তার পর দেখা হবে কোথায় কোথায় ইন্টার্ন প্রয়োজন। সেই মতো নিয়োগ হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy