যুব কংগ্রেসের ডাকে মিছিল। কলকাতার পথে। নিজস্ব চিত্র।
কেন্দ্র ও রাজ্যের দুই শাসক দলের কাজকর্মের প্রতিবাদে আগামী ১৫ জুন কলকাতার শহিদ মিনার ময়দানে কেন্দ্রীয় সমাবেশের ডাক দিল প্রদেশ কংগ্রেস। দলের বৈঠকে অধিকাংশ জেলা সভাপতি দাবি জানালেন, পঞ্চায়েত ভোটে যথাসম্ভব আসনে কংগ্রেস নিজের শক্তিতেই প্রার্থী দিয়ে লড়ুক। একই দিনে ‘নো ভোট টু মোদী, নো ভোট টু দিদি’ স্লোগানকে সামনে রেখে কলকাতার রাজপথে প্রদেশ যুব কংগ্রেসের ডাকা মিছিলে হাঁটলেন দলের বর্ষীয়ান নেতারাও। রাজ্যে কংগ্রেসের এই তৎপরতাকে কর্নাটকে সাফল্যের ‘প্রভাব’ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক শিবির।
প্রদেশ কংগ্রেসের সদর দফতর বিধান ভবনে বৃহস্পতিবার দলের জেলা সভাপতি ও কার্যকরী সভাপতিদের নিয়ে বৈঠক ডাকা হয়েছিল। বৈঠকের পরে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী ১৫ জুন শহিদ মিনার ময়দানে সমাবেশ করার ঘোষণা করছেন। অধীরের বক্তব্য, ‘‘বিজেপিকে কর্নাটকে হারানোর পরে দেশ জুড়েই কংগ্রেসের পালে নতুন হাওয়া লেগেছে। এ রাজ্যেও মানুষ কংগ্রেসের উপরে আস্থা ফিরে পাচ্ছেন। জেলায় জেলায় তৃণমূল এবং বিজেপি ছেড়ে কর্মী-সমর্থকেরা কংগ্রেসে আসছেন। তৃণমূলের দুর্নীতি ও অপশাসন এবং বিজেপির সাম্প্রদায়িক রাজনীতির বিরুদ্ধে কলকাতার শহিদ মিনার ময়দানে আমরা সমাবেশ করব। তার আগে প্রায় এক মাস রাজ্য জুড়ে ওই সমাবেশের প্রস্তুতিতে সভা ও কর্মসূচি হবে।’’ তৃণমূল এবং বিজেপির বাইরে কংগ্রেস বিকল্প দিতে পারবে বলে দাবি করে বাংলার মানুষকে তাঁদের পাশে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রদেশ সভাপতি।
দলীয় সূত্রের খবর, বিধান ভবনের বৈঠকে এ দিন বেশির ভাগ জেলা সভাপতিই দাবি করেছেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনে আগে থেকে জোটের কথা বলার দরকার নেই। বিজেপি ও তৃণমূল ছেড়ে মানুষ কংগ্রেসের দিকে আসছেন। এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেস যথাসম্ভব বেশি আসনে নিজেরা প্রার্থী দিয়ে একা লড়াই করুক। যেখানে তেমন শক্তি থাকবে না, সেখানে বামেদের সঙ্গে জোটের বিষয়ে এগোনো যেতে পারে। রাজ্যের কত শতাংশ পঞ্চায়েত আসনে কংগ্রেস একাই প্রার্থী দেওয়ার ক্ষমতা রাখে, তার কোনও নির্দিষ্ট হিসেব অবশ্য বৈঠকে আসেনি। তবে প্রদেশ সভাপতি অধীর তাঁর পুরনো অবস্থান বজায় রেখেই বৈঠকে ফের বলেছেন, জোট কোথায় হবে বা হবে না, তা জেলা এবং স্থানীয় স্তরেই ঠিক হবে। এরই পাশাপাশি, লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় তৃণমূলের সঙ্গে কোনও জোটের চেষ্টা যাতে না হয়, সেই দাবি জানিয়ে জেলা সভাপতিদের সই নিয়ে দলের হাই কম্যান্ডকে চিঠি পঠানোর কথা এসেছিল। কিন্তু সূত্রের খবর, এখনই এমন পদক্ষেপ না করার কথা বলেছেন প্রদেশ সভাপতি। এআইসিসি এই সংক্রান্ত আলোচনা শুরু করলে তখন দেখা যাবে, এই যুক্তিই দিয়েছেন তিনি।
কর্নাটকের মানুষকে ধন্যবাদ জানিয়ে এবং ‘নো ভোট টু মোদী, নো ভোট টু দিদি’ ডাক দিয়ে কলেজ স্কোয়ার থেকে এ দিন ধর্মতলা পর্যন্ত মিছিলে ভিড় হয়েছিল ভালই। শামিল হয়েছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য, আব্দুল মান্নান, অমিতাভ চক্রবর্তী, সন্তোষ পাঠক, প্রদেশ যুব কংগ্রেস সভাপতি আজ়হার মল্লিক প্রমুখ। প্রদীপবাবু বলেন, ‘‘কর্নাটকের ফল আমাদের উজ্জীবিত করেছে। কিন্তু কর্নাটক থেকে শিক্ষা নিয়েই সংগঠন শক্তিশালী করার দিকে আমাদের নজর দিতে হবে।’’
গ্রাম পঞ্চায়েতের কর যাঁরা আদায় করেন, তাঁদের সামান্য বেতনের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করে এ দিনই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়েছেন অধীর। প্রদেশ সভাপতির দাবি, কর আদায়কারীদের পঞ্চায়েতের কর্মী হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হোক এবং যত দিন তা না হচ্ছে, তাঁদের মাসিক ১০ হাজার টাকা বেতনের ব্যবস্থা হোক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy