এই পিচের রাস্তা নিয়ে অভিযোগ। —নিজস্ব চিত্র।
ভবানীপুরের হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটে জমি জবরদখল করে পিচের রাস্তা তৈরির অভিযোগ উঠল। যাঁর দিকে অভিযোগের আঙুল উঠেছে, তিনি স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় ওরফে বাবুন। মুখ্যমন্ত্রী সম্প্রতি যে ভাইকে প্রকাশ্যে ‘ত্যাজ্য’ বলে ঘোষণা করেছিলেন। অভিযোগকারী প্রবীণ ভোলানাথ সিংহের আক্ষেপ, কালীঘাট থানা, ডিসি (সাউথ), কলকাতার পুলিশ কমিশনার ও স্থানীয় পুর-প্রতিনিধির কাছে লিখিত অভিযোগ করা সত্ত্বেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
জমি দখল করে সেখানে পিচের রাস্তা তৈরির অভিযোগ জোরের সঙ্গে উড়িয়ে দিয়েছেন বাবুন। বুধবার তিনি বলেন, ‘‘এই বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। আমি ওই জায়গা ব্যবহারও করি না। উনি (ভোলানাথ) যদি আমার বিরুদ্ধে বার বার মিথ্যা অভিযোগ করে যান, আমার কিছুই করার নেই।’’ যদিও এই অভিযোগের বিষয়ে স্থানীয় পুর-প্রতিনিধি কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ভোটের পরেই অভিযোগকারীকে ডেকে কথা বলব। যদি ওই জমি ওঁর (ভোলানাথ) হয়ে থাকে, তা হলে নিশ্চয়ই অভিযোগকারীকে তা ফেরত দিয়ে দেব।’’ এ নিয়ে কালীঘাট থানার ওসি সত্যজিৎ কর্মকার বলেন, ‘‘এমন কোনও অভিযোগের কথা আমার জানা নেই।’’
কালীঘাট থানা, ডিসি (সাউথ), কলকাতার পুলিশ কমিশনার ও স্থানীয় পুর-প্রতিনিধির কাছে গত ফেব্রুয়ারি মাসে ডাকযোগে পাঠানো চিঠিতে (কালীঘাট থানা, ডিসি (সাউথ), পুরপ্রতিনিধির তরফে চিঠির প্রাপ্তিস্বীকার পত্র ভোলানাথের কাছে রয়েছে) ভোলানাথ লিখেছেন— ‘২৯/১, প্রেমেন্দ্র মিত্র সরণি (হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিট) জায়গাটি আমার। ওই জমিতে আমার ইট-বালির কারবার ছিল। নানা কারণে এখন করি না। থাকি ভবানীপুরে। ৭৫ বছর বয়স। ওই জমিতে খুব বেশি যাতায়াতও করি না। সেই সুযোগে স্বপন ব্যানার্জি (বাবুন) আমার জায়গা দখল করে নিয়েছে। অনেক জায়গায় চিঠি দিয়েছি। এখন দেখছি, ইট ফেলে ওই জায়গায় পিচ ঢেলে রাস্তা তৈরি করে নেওয়া হয়েছে। আপনাদের সাহায্য চেয়ে চিঠি দিলাম। আমাকে সাহায্য করে উপকৃত করবেন। এই আশায় থাকলাম।’’
ভোলানাথ জানিয়েছেন, বাবুন থাকতেন ৩০এ-হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিট (প্রেমেন্দ্র মিত্র সরণি)তে। এখন তিনি তার পিছন দিকে নতুন বাড়ি তৈরি করেছেন। আর তার পাশে ২৯/১ হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটে সিংহ পরিবারের প্রায় সাড়ে চার কাঠা জমি নিয়ে সমস্যার সূত্রপাত।
আদতে ভবানীপুরের রাখাল মুখার্জি রোডের বাসিন্দা ভোলানাথের দাবি, তাঁদের ইট-বালি-সুরকি সরবরাহের পারিবারিক ব্যবসার অফিস রয়েছে ওই জমিতে। তাঁর অভিযোগ, কয়েক বছর আগে ওই জমির পাশে বাবুন নতুন বাড়ি তোলেন, এবং তাঁর জমি দিয়েই যাতায়াত শুরু করেন।
বাবুন এই সব অভিযোগই দৃঢ় ভাবে অস্বীকার করেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy