উপনির্বাচনের দাবিতে ফের নির্বাচন কমিশনে দ্বারস্থ হতে পারে তৃণমূল। নিজস্ব চিত্র।
আগামী দু-একদিনের মধ্যেই উপনির্বাচনের দাবিতে কমিশনের দ্বারস্থ হতে পারে বাংলার শাসকদল। তৃণমূলসূত্রে খবর, দলের পাঁচজন সাংসদ রাজ্যের সাতটি কেন্দ্রে ভোটের দাবিতে ফের কমিশনের দফতরে যেতে পারেন। গত ১২ অগস্ট কোভিড অতিমারির আবহে কী ভাবে সুরক্ষিত নির্বাচন ও উপনির্বাচন আয়োজন করা সম্ভব সে ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মতামত জানতে চেয়েছে। নির্বাচন কমিশনের তরফে সমস্ত স্বীকৃত রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বকে চিঠি পাঠিয়ে এ ব্যাপারে মতামত জানতে চাওয়া হয়েছে। যদিও তার আগেই দু’বার কমিশনের দফতরে গিয়ে উপনির্বাচনের দাবি জানিয়েছিল তৃণমূল। সোমবার নবান্নের সাংবাদিক বৈঠকেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও উপনির্বাচনের পক্ষে সওয়াল করেছিলেন।
১৫ জুলাই দিল্লির কমিশনের দফতরে গিয়ে উপভোটের দাবি জানিয়েছিল তৃণমূল। কমিশনের সঙ্গে বৈঠকের পর উপনির্বাচন নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তারপরেও ভোট নিয়ে কমিশন কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়ায় চলতি মাসের ৬ তারিখে নির্বাচন কমিশনের কলকাতার দফতরে গিয়ে উপনির্বাচনের দাবি করেছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও সুব্রত মুখোপাধ্যায়রা। কিন্তু ১২ অগস্ট কমিশন চিঠি দিয়ে পাঁচ রাজ্যের বকেয়া উপনির্বাচন নিয়ে সব স্বীকৃত রাজনৈতিক দলগুলির কাছে যে মতামত জানতে চেয়েছিল। এবার সেই চিঠিকেই দাবির সপক্ষে হাতিয়ার করতে চলেছে তৃণমূল। সূত্রের খবর, আগামী দু’দিনের মধ্যেই সেই দলীয় মতামতের চিঠি নিয়েই কমিশনের দফতরের উপনির্বাচনের দাবি জানাবেন তৃণমূলের প্রতিনিধিরা।
সূত্রের খবর, মার্চ-এপ্রিল-মে মাস জুড়ে ভোট হয়েছিল। সেই সময় দেশে চলছিল করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ। সেই সময় রাজ্যের করোনা সংক্রমণের গ্রাফ কী ছিল? বর্তমানে রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি কোন জায়গায় দাঁড়িয়ে রয়েছে। এই দুটি বিষয়কেই তুলে ধরে রাজ্যে উপনির্বাচনের পক্ষে সওয়াল করবেন তাঁরা। প্রসঙ্গত, ৫ মে মুখ্যমন্ত্রী পদে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শপথ নিয়েছেন। তাঁকে আগামী ৫ নভেম্বরের মধ্যে উপনির্বাচনে জয়ী হয়ে সাংবিধানিক শর্তপূরণ করতে হবে।ভবানীপুর বিধানসভার বিধায়ক পদে গত ২১ মে ইস্তফা দেন কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। সম্ভবত সেই আসনে প্রার্থী হবেন মুখ্যমন্ত্রী। ইতিমধ্যে দক্ষিণ কলকাতা জেলা তৃণমূলের পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রীর ভোটের প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছে। আর খড়দহে ফলাফল ঘোষণার আগেই প্রয়াত হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী কাজল সিংহ। সেই আসনে আবার তৃণমূল প্রার্থী হবেন শোভনদেব। আর শান্তিপুর ও দিনহাটা থেকে জিতে ইস্তফা দিয়েছেন বিজেপি-র সাংসদ জগন্নাথ সরকার ও কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক। আর গত জুন মাসে প্রয়াত হয়েছেন গোসাবার তৃণমূল বিধায়ক জয়ন্ত নস্কর। আর প্রার্থীদের মৃত্যুর কারণে নির্দিষ্ট সময়ে ভোট হয়নি জঙ্গিপুর ও সামসেরগঞ্জে। তাই এই সব আসনে সাত দিনের প্রচারের সময় দিয়েই ভোট করানোর পক্ষপাতী তৃণমূল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy