বুধবার দিনভর উড়তে থাকা সেই ছাই। ছবি: তাপস ঘোষ।
কালো ছাই উড়ছে চারপাশে। অথচ কোথা থেকে তা আসছে বোঝা যাচ্ছে না। মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার দিনভর উড়তে থাকা ছাই নিয়ে একই সঙ্গে রহস্য ও আতঙ্কে শ্রীরামপুরের মানুষ।
শুধু শ্রীরামপুর নয় শেওড়াফুলি, বৈদ্যবাটী, বড়া, ডানকুনি, সিঙ্গুর সবত্রই রাস্তাঘাটে, বাড়ির ছাদের পড়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে ছাই। মঙ্গলবার রাত থেকেই এই ছাই পড়তে থাকে। কিন্তু শীতের রাতে বাসিন্দারা তা বুঝে উঠতে পারেননি। বুধবার সকাল থেকে ছাই পড়ার পরিমাণ বাড়তে থাকে। এর পরেই কোথা থেকে ছাই আসছে তা নিয়ে খোঁজ পড়ে যায়। সকলের চিন্তা, ছাই পড়ার ফলে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। গাছপালার উপর ছাই পড়ে পরিবেশ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করছেন শহরবাসী। কারও অনুমান, স্থানীয় কোনও কারখানায় প্লাস্টিক জাতীয় কিছু পোড়ানোর ফলে এই ছাই উড়তে পারে। আবার কেউ মনে করছেন দিল্লি রোড লাগোয়া জায়গায় কাটা গাছের ডাল পুড়িয়ে ফেলার ফলে এই ছাই ওড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও রাত পর্যন্ত কি প্রশাসন, কি শহরবাসী কেউই ছাইয়ের উত্স খুঁজে পাননি।
শ্রীরামপুর ডাক্তার বাগানের বাসিন্দা অজয় সিংহ বলেন, ‘‘ মঙ্গলবার রাতেও ছাই পড়েছে। কিন্তু অতটা বোঝা যায়নি। বুধবার সকাল থেকে ছাই পড়ার পরিমাণ বাড়তে থাকে। বাতাসের সঙ্গে ছাইয়ের সংস্পর্শে বাতাস দূষিত হচ্ছে। তা ছাড়া গাছপালার উপর ছাই পড়ে পরিবেশ দূষণের সম্ভাবনাও রয়েছে। কোথা থেকে এই ছাই আসছে অবিলম্বে তা খুজে বের করা দরকার’’
পরিবেশবিদ বিশ্বজিত্ মুখোপাধ্যায় বলেন, “সকাল থেকেই বিভিন্ন এলাকা থেকে ছাই পড়ার খবর আসে। কিন্তু ছাইয়ের উত্স কেউ বলতে পারছেন না। দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ যতক্ষণ পযর্ন্ত না ছাইয়ের নমুনা পরীক্ষা করছে ততক্ষণ এর উত্স বলা সম্ভব নয়। তবে বিভিন্ন কলকারখানা থেকে যে বর্জ্য বেরোচ্ছে তার থেকে যে কার্বন বের হয় তা পাছের উপরে পড়ার ফলে আমরা বুঝতে পারতাম না। কিন্তু এখন গাছপালা কেটে ফেলার ফলে সেই কার্বন বাতাসে মিশে এদিক ওদিক পড়ছে।”
শ্রীরামপুরের মহকুমাশাসক মৃণালকান্তি হালদার বলেন, “আমার কাছে এখনও পর্যন্ত এই ছাইয়ের ব্যাপারে কেউ কিছু জানাননি। তবে খোঁজ নিয়ে দেখছি। প্রয়োজনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy