Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

আদালতের নির্দেশে শ্রমিকেরা বকেয়া পেলেন

বার বার প্রতিশ্রুতির পরও কারখানা কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের বকেয়া দিচ্ছিলেন না। নিরুপায় হয়ে শেষে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শ্রমিকেরা। হাইকোর্টের নির্দেশে শেষ পর্যন্ত শ্রমিকদের বকেয়া মিটিয়ে দিতে বাধ্য হলেন কারখানা কর্তৃপক্ষ। চলতি মাসের ১২ তারিখ কোন্নগরের রিলাক্সন কারখানা কর্তৃপক্ষ আদালতেই ১১ জন শ্রমিকের বকেয়া পাওনার ৩৫ শতাংশ টাকার চেক জমা দেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা
চুঁচুড়া শেষ আপডেট: ১৮ নভেম্বর ২০১৪ ০১:৩৫
Share: Save:

বার বার প্রতিশ্রুতির পরও কারখানা কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের বকেয়া দিচ্ছিলেন না। নিরুপায় হয়ে শেষে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শ্রমিকেরা। হাইকোর্টের নির্দেশে শেষ পর্যন্ত শ্রমিকদের বকেয়া মিটিয়ে দিতে বাধ্য হলেন কারখানা কর্তৃপক্ষ। চলতি মাসের ১২ তারিখ কোন্নগরের রিলাক্সন কারখানা কর্তৃপক্ষ আদালতেই ১১ জন শ্রমিকের বকেয়া পাওনার ৩৫ শতাংশ টাকার চেক জমা দেন।

প্রশাসন সূত্রের খবর, ২০১০ সালে বাঙুর গোষ্ঠী পরিচালিত ওই কারাখানা বন্ধ করে দেন কর্তৃপক্ষ। ওই কারখানায় এক সময় স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলিয়ে অন্তত ৪০০ শ্রমিক কাজ করতেন। কারখানা বন্ধের সময়ও প্রায় একশো শ্রমিক কাজ করতেন। অভিযোগ, কারখানা বন্ধের সময় সেখানকার অধিকাংশ শ্রমিকদেরই পাওনা বকেয়া ছিল। কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের আশ্বস্ত করেন তাঁদের পাওনা মিটিয়ে দেবেন। ইতিমধ্যে বেশ কিছু শ্রমিক অবসর নেন। তাঁদের অবসরকালীন সমস্ত পাওনাই বকেয়াই থেকে যায়।

কোনও সমাধান না মেলায় কারখানার ১১ জন শ্রমিক তাঁদের বকেয়ার জন্য শ্রীরামপুর শ্রমদফতরে আবেদন করেন। শ্রমদফতর থেকে তাঁদের পাওনা মিটিয়ে দেওয়ার কারখানা কর্তৃপক্ষকে বিধিবদ্ধ নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু তাতেও কর্তৃপক্ষের তরফে কোনও হেলদোল দেখা যায়নি। শেষ পর্যন্ত চন্দননগরের আইনি সহায়তা কেন্দ্রের মাধ্যমে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন সেখানাকার ১১ জন হতভাগ্য শ্রমিক। বিচারপতি অশোক কুমার দাসচৌধুরী সরকার, শ্রমিক এবং মালিক সবপক্ষের বক্তব্য শোনেন। শেষ পর্যন্ত ১১ জন শ্রমিকের বকেয়ার ৩৫ শতাংশ টাকা ৬ দিনের মধ্যে আদালতে জমা দিতে কারখানা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন। বিচারক এও জানিয়েছেন ১৫ দিন পর ফের তিনি শ্রমিকদের বাকি যে পাওনা রয়েছে আছে সেই সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত জানাবেন।

কারখানায় দীর্ঘদিন ধরে কাজ করেছেন নিমাই মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “কারখানা কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ২ লক্ষ ৩১ হাজার টাকা পাওনা ছিল। কিন্তু বার বার শ্রতিশ্রুতি দিয়েও কর্তৃপক্ষ বকেয়া দিচ্ছিলেন না। বাধ্য হয়ে আমরা আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিই।” চন্দননগর আইনি সহায়তা কেন্দ্রের কর্ণধার বিশ্বজিত্‌ মুখোপাধ্যায় বলেন, “আমরা মামলার মাধ্যমে শ্রমিকদের যে পরিমাণ টাকা বকেয়া রয়েছে তার মধ্যে অল্প কয়েকজন টাকা পাচ্ছে। আরও অনেকের টাকা বকেয়া রয়েছে।”

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE