শ্রোতা: অভিযোগ শুনছেন পুরপ্রধান। নিজস্ব চিত্র
নর্দমা নাকি আস্তাকুঁড়! রাস্তাও জঞ্জালে ভর্তি।
‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচিতে বৃহস্পতিবার হুগলি-চুঁচুড়া পুরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের হেমন্ত বসু কলোনিতে ঢুকতেই স্থানীয় বিধায়ক অসিত মজুমদারের কাছে ক্ষোভ উগরে দিলেন বাসিন্দারা। হাল-হকিকত দেখে সাফাইকর্মীদের সুপারভাইজারের উপরে বেজায় চটলেন বিধায়ক। পত্রপাঠ ওই সুপারভাইজারকে কাজ থেকে বসিয়ে দিলেন পুর কর্তৃপক্ষ। পরিষেবা নিয়ে এলাকার দলীয় কাউন্সিলর সুনীল মালাকারের কাজেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিধায়ক। সুনীলবাবুর নাম না-করে তিনি বলেন, ‘‘যে নেতৃ্ত্বের জন্য ওয়ার্ডের এই অবস্থা, তাঁর বিরুদ্ধে দলগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
এ দিন সকাল ৯টা নাগাদ বিধায়ক ওই এলাকায় যান। সঙ্গে ছিলেন পুরপ্রধান গৌরীকান্ত মুখোপাধ্যায়, দলের শহর সভাপতি সঞ্জীব মিত্র, ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মৌসুমি বসু চট্টোপাধ্যায়। এলাকার লোকজন তাঁদের ঘিরে ধরেন। অনেকেই অভিযোগ করেন, সাফাই ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। বৃষ্টি হলে এলাকায় জল দাঁড়িয়ে যায়। কিছু দিন আগেও জ্বরের প্রকোপ ছিল। ডেঙ্গির ভয় থাকা সত্ত্বেও মশার লার্ভা মারার তেল নিয়মিত ব্যবধানে দেওয়া হয়নি। বিধায়ক নিজেও এলাকা ঘুরে অভিযোগের সারবত্তা টের পান। তিনি বলেন, ‘‘সকাল সাড়ে ১০টায় এলাকায় ঘুরে মাত্র চার জন সাফাইকর্মীর দেখা মেলে। সুপারভাইজার আর আসেননি। কাজের এমন বহর দেখে আশ্চর্য লাগছে।’’ সাফাইয়ের বেহাল দশার কথা ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা সিআইসি (জল) সুনীলবাবুও মানছেন। তবে তাঁর দাবি, ‘‘এই ওয়ার্ডটি অনেক বড়। মাত্র ২৮ জন সাফাইকর্মীকে দিয়ে এত বড় এলাকা সামলানো সম্ভব নয়। গত দশ বছর ধরে সাফাইকর্মীর সংখ্যা বাড়ানোর দাবি জানিয়েছি। পুরপ্রধান, বিধায়ককে চিঠি দিয়েছি। কিন্তু কর্মী বাড়ানো হয়নি।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘সাফাইয়ের বিষয়টি আমার দেখার কথা নয়। এটা স্বাস্থ্য বিভাগের সিআইসি-র দায়িত্ব।’’ স্বাস্থ্য বিভাগের সিআইসি) পার্থ সাহা বলেন, ‘‘আয়তনের অনুপাতে ওখানে সাফাইকর্মীর সংখ্যা হয়তো যথেষ্ট নয়। কিন্তু তা বলে সাফাইয়ের হাল এতটা খারাপ হবে কেন? এলাকার সাফাইয়ের কাজ স্থানীয় কাউন্সিলরের তদারক করার কথা। তিনি হয়তো সঠিক পরিকল্পনা করতে পারছেন না।’’
এই ওয়ার্ডের জনসংখ্যা ১৩ হাজারের বেশি। লোকসভা ভোটে এখানে দেড় হাজারের বেশি ভোটে বিজেপির থেকে তৃণমূল পিছিয়ে ছিল। তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশ মানছেন, বিভিন্ন জায়গায় দুর্নীতি এবং পরিষেবায় গাফিলতির কারণে মানুষ তাঁদের থেকে মুখ ফিরিয়েছেন। এ ক্ষেত্রেও বেহাল পরিষেবা ওই ওয়ার্ডে পিছিয়ে থাকার কারণ বলে তাঁরা মনে করছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy