প্রতীকী ছবি।
এক বিজেপি কর্মীকে খুনের ঘটনার মূল সাক্ষী ওই দলেরই আর এক কর্মীকে পিটিয়ে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার রাতে আরামবাগের ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কালীপুরের পশ্চিম হরিপুর এলাকার ঘটনা। শেখ রেজাবুল হোসেন নামে গুরুতর আহত ওই বিজেপি কর্মীকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। হামলায় জড়িত অভিযোগে পুলিশ এক জনকে গ্রেফতার করেছে। তৃণমূল অভিযোগ মানেনি।
লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই কালীপুরে তৃণমূল-বিজেপি সংঘাত লেগে রয়েছে। গত বছর অক্টোবর মাসের শেষ দিকে কালীপুর মোড়ে বিজেপি কর্মী আমির আলি খানকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সে সময় আমিরের সঙ্গে রেজাবুলও আক্রান্ত হয়েছিলেন। তিনি খুনের প্রত্যক্ষদর্শী।
এ বার হামলার পরে বৃহস্পতিবার রাতেই আহতের পরিবারের পক্ষ থেকে তৃণমূলের শেখ জিকরিয়া আলি-সহ ১৫ জনের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। পুলিশ অভিযুক্তদের মধ্যে জিকরিয়ার ভাই টিঙ্কু আলিকে গ্রেফতার করে।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তদের অধিকাংশই আগের খুনের ঘটনাটিতেও অভিযুক্ত। তারা জামিনে রয়েছে। এ বারের ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। ধৃতকে শুক্রবার আরামবাগ আদালতে হাজির করানো হয়। বিচারক তাদের সাত দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। এলাকায় উত্তেজনা থাকায় পুলিশের টহলদারি চলছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ দ্বারকেশ্বর নদ সংলগ্ন পিরতলায় রেজাবুল দলের কয়েকজনের সঙ্গে গল্পগুজব করছিলেন। সেখানে তৃণমূল কর্মীরা গেলে দু’পক্ষের বচসা থেকে হাতাহাতি হয়। তৃণমূল কর্মীরা লাঠি, রড নিয়ে মারধর করে বলে অভিযোগ।
চেঁচামেচি শুনে পাড়ার লোকরা এসে তৃণমূল কর্মীদের তাড়া করেন। কয়েকজনকে মারধর করা হয় বলেও আভিযোগ। গোলমালের প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন জানিয়েছেন, পিরতলায় মদ খাওয়াকে কেন্দ্র করেই চেঁচামেচি হচ্ছিল।
ঘটনা নিয়ে বিজেপির আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিমান ঘোষের অভিযোগ, ‘‘আমাদের দলীয় কর্মীকে খুনের সাক্ষীকেও খুন করার পরিকল্পনা ছিল তৃণমূলের।”
বিজেপির অভিযোগ অস্বীকার করে আরামবাগ শহর তৃণমূলের সভাপতি রাজেশ চৌধুরীর দাবি, ‘‘পাড়াগত ঝামেলার জেরে আগের খুনের ঘটনাটি ঘটেছিল। এ বারের গোলমালেও রাজনীতির কোনও যোগ নেই। পিরতলায় মদ খাওয়ার সময় দু’পক্ষের মারপিট হয়েছে। বিজেপি সেই ঘটনা নিয়ে নোংরা রাজনীতি করছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy