Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪

রাসায়নিক দিয়ে আগাছা সাফ

এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বহির্বিভাগ এবং অন্তর্বিভাগে রোগী দেখা হয়। হবু মায়েরা প্রসব এবং অন্যান্য চিকিৎসার এখানে জন্য আসেন। বর্হিবিভাগে প্রতিদিন কয়েকশো রোগীর ভিড় হয়।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

সুব্রত জানা
উলুবেড়িয়া শেষ আপডেট: ২৫ অগস্ট ২০১৯ ০১:৪১
Share: Save:

স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চারপাশ আগাছায় ভরে গিয়েছিল। স্বাস্থ্যকেন্দ্রের আধিকারিরদের অভিযোগ, স্থানীয় পঞ্চায়েত এবং বিডিওকে বারাবার পরিষ্কারের আবেদন জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি। এরপর তাঁরা নিজেরাই ঠিকাদার নিয়োগ করে রাসায়নিক দিয়ে ঘাস ও আগাছা পরিষ্কার করালেন। পরিবেশবিদরা বহুদিন ধরেই বলে আসছেন, রাসায়নিক দিয়ে আগাছা সাফ করলে তা পরিবেশের ক্ষতি করে। অথচ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের আধিকারিররা পরিবেশের তোয়াক্কা না করেই সাফাই করালেন বলে অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে উলুবেড়িয়া ২ ব্লকের বৃন্দাবনপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে।

এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বহির্বিভাগ এবং অন্তর্বিভাগে রোগী দেখা হয়। হবু মায়েরা প্রসব এবং অন্যান্য চিকিৎসার এখানে জন্য আসেন। বর্হিবিভাগে প্রতিদিন কয়েকশো রোগীর ভিড় হয়। স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কিছু রোগী ভর্তিও থাকেন। স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চারপাশ আগাছায় ভরে গেলে পোকামাকড়ের উপদ্রব বেড়ে যায়। যাতায়াতের সমস্যাও দেখা দেয়।

উলুবেড়িয়া ২ ব্লকের বিএমওএইচ তন্ময় ঘোষ বৃন্দাবনপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক। তিনি বলেন, ‘‘স্থানীয় পঞ্চায়েত ও বিডিওকে অনেকবার চিঠি দিয়ে জানিয়েছি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের আগাছা পরিষ্কার করার জন্য। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি। এরপর স্থানীয় এক ঠিকাদারকে আগাছা সাফ করার দায়িত্ব দেওয়া হয়। সহজে পরিষ্কার হবে বলে ঠিকাদার রাসায়নিক ব্যবহার করেছেন।’’ যদিও স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে চিঠি পাওয়ার কথা অস্বীকার করেছে বিডিও ও স্থানীয় পঞ্চায়েত। তন্ময় ঘোষের যুক্তি, গ্রামে এই ভাবেই আগাছা পরিষ্কার করা হয়। এতে পরিবেশে খুব একটা প্রভাব পড়বে না।

যদিও অন্য একজন চিকিৎসকের মতে, যে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সদ্যোজাত শিশু প্রসব করানো হয়, তার পাশেই রায়ায়নিক ব্যবহার করা খুব ক্ষতিকর। স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি থাকা এক রোগীর আত্মীয় বলেন, ‘‘ঘাসে রাসায়নিক ব্যবহারের পর থেকে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভিতরে পোকামাকড় ও সাপ দেখা যাচ্ছে।’’

উলুবেড়িয়া ২ নং ব্লকের বিডিও নিশীথ মাহাতো বলেন, ‘‘রাসায়নিক ব্যবহার করে আগাছা সাফ করা কখনওই উচিত নয়। আমরা বারবার মানুষকে এই বিষয়ে সচেতন করি। স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যদি এই কাজ হয়ে থাকলে, তা ঠিক হয়নি। আগাছা পরিষ্কারের কথা আমাদের জানালে, আমরা সঙ্গে সঙ্গেই ব্যবস্থা নিতাম। বিএমওএইচ ব্লক প্রশাসনকে কিছু না জানিয়ে নিজের মতে কাজ করেছেন। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।’’

একই বক্তব্য বাণীবন গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মিঠু অধিকারীর। তিনি বলেন, ‘‘আগাছার বিষয়টি আমাদের জানানো হলে মজুর দিয়ে তা পরিষ্কার করিয়ে দিতাম। কিন্তু আমাদের না জানিয়ে পরিবেশের ক্ষতি করে রাসায়নিক ব্যবহার করা উচিত হয়নি। পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে বিষয়টির তদন্ত করা হবে।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Weeds Health Centre Uluberia
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy