Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪

১৮ লক্ষ টাকার ধুতি বানিয়ে বিপাকে তাঁতিরা

গত বছর থেকে ‘উদয়নারায়ণপুর ব্লক লার্জ সাইজ তন্তুবায় প্রাথমিক সমবায় সমিতি’ নামে ওই সমিতিকে পুজোর আগে ধুতির বরাত দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় তন্তুজ।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নুরুল আবসার
উদয়নারায়ণপুর শেষ আপডেট: ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০০:৩৮
Share: Save:

তন্তুজের কাছে ধুতি বিক্রি করতে গিয়ে বিপাকে পড়েছে উদয়নারায়ণপুরের একটি তন্তুবায় সমবায় সমিতি। তাদের অভিযোগ, প্রায় ১৮ লক্ষ টাকার ধুতির বরাত দিলেও শেষ পর্যন্ত তা নেয়নি তন্তুজ। ফলে, সাড়ে তিন হাজার ধুতি পড়ে নষ্ট হচ্ছে। সমিতির ঘাড়ে বিপুল আর্থিক দায়ভার চেপেছে। তন্তুজের পাল্টা দাবি, ওই সমিতিকে আদৌ কোনও বরাত দেওয়া হয়নি। ফলে, বরাত বাতিলের প্রশ্ন নেই।

গত বছর থেকে ‘উদয়নারায়ণপুর ব্লক লার্জ সাইজ তন্তুবায় প্রাথমিক সমবায় সমিতি’ নামে ওই সমিতিকে পুজোর আগে ধুতির বরাত দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় তন্তুজ। সমিতির সদস্যেরা সকলেই পেশায় তাঁতি। সমিতি সূত্রের খবর, গত বছর পুজোর আগে তাদের সাড়ে চার হাজার ধুতির বরাত দেয় তন্তুজ। সে বাবদ তাদের ১৯ লক্ষ টাকা মিটিয়েও দেওয়া হয়। বরাত অনুযায়ী তারা সব ধুতি জোগান দিয়েছিল। সমিতির কর্তারা জানান, চলতি বছরের গোড়ায় ফের মৌখিক ভাবে সাড়ে তিন হাজার ধুতির বরাত দেয় তন্তুজ। সেই মতো ধুতি তৈরিও করা হয়। কিন্তু তন্তুজ সেই ধুতি এখন নিতে চাইছে না। গত বছর যে ধুতি নেওয়া হয়েছিল, সেগুলি বিক্রি না-হওয়ায় এ বারের ধুতি নেওয়া যাবে না বলে তন্তুজ তাঁদের জানিয়েছে বলে সমিতির কর্তাদের দাবি।

সমিতির সম্পাদক সনাতন মণ্ডল বলেন, ‘‘আমাদের গুদামে ধুতি জমে রয়েছে। তন্তুজ না-নেওয়ায় খোলা বাজারে বিক্রিও করতে পারছি না। কারণ, ওই ধুতির এক-একটির দাম প্রায় ৫০০ টাকা। এই দামে খোলা বাজারে ধুতি বিক্রি করা মুশকিল। পুজোর আগে তাঁতিরা সমস্যা পড়েছেন। ধুতিগুলি তন্তুজ নিলে পুজোর আগে তাঁতিরা কিছু বাড়তি টাকা পেতেন। কিন্তু এখন তাঁতিদের মজুরি দিতে পারছি না।’’

সমিতির অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে তন্তুজ। সংস্থার ভাইস চেয়ারম্যান তথা উদয়নারায়ণপুরের বিধায়ক সমীর পাঁজার দাবি, ‘‘সমিতির কাছ থেকে ধুতির নকশা ও দাম জানতে চাওয়া হয়েছিল। ওদের কোনও বরাত দেওয়া হয়নি। কীসের ভিত্তিতে তারা সাড়ে তিন হাজার ধুতি করল? এর দায় তন্তুজ নেবে না।’’ সনাতনবাবুর দাবি, সমিতিকে তন্তুজের পক্ষ থেকে মৌখিক ভাবে বরাত দেওয়া হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘‘নকশা ও দাম এর প্রস্তাব জমা দেওয়ার পরে তন্তুজের আধিকারিকরা আমাদের ধুতি তৈরি করতে বলেছিলেন।’’ যদিও মৌখিক আশ্বাসের ভিত্তিতে এত ধুতি সমিতি করল কেন, সেই প্রশ্নের জবাব সনাতনবাবু দেননি।

অন্য বিষয়গুলি:

Udaynarayanpur Tanjtuja
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy