তল্লাশি: নিখোঁজদের খোঁজে গঙ্গায়। নিজস্ব চিত্র
ভাসানের সময়ে দুর্ঘটনা এড়াতে গঙ্গাবক্ষে স্পিডবোটে করে টহল দিচ্ছে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীরা। সোমবার বিকেলে হুগলির অন্নপূর্ণা ঘাটে সেরকমই এক স্পিডবোটে ঘটল দুর্ঘটনা। বাজ পড়ে উল্টে গেল সেটি। তলিয়ে গেলেন স্পিডবোটে থাকা তিন জন। একজন কোনওক্রমে উপরে উঠলেও দু’জন এখনও নিখোঁজ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রতিমা ভাসানের সময়ে নজরদারি রাখতে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের উদ্যোগে গঙ্গার ঘাট সংলগ্ন এলাকাগুলিতে শনিবার, দশমীর দিন থেকে টহলদারি শুরু হয়েছে। এ দিন অন্নপূর্ণা ঘাট সংলগ্ন এলাকায় টহলদারি স্পিড বোটে ছিলেন মহম্মদ সাহাদাদ কুরেশি, জয়ন্ত মজুমদার এবং প্রসেনজিৎ সাহা। প্রসেনজিৎ এবং জয়ন্তের বাড়ি হুগলির কৃষ্ণপুরে এবং সাহাদাদের বাড়ি চুঁচুড়ার খাগড়াজোলে। স্পিড বোটে বাজ পড়ার পরে প্রাণ বাঁচাতে তিন জনেই গঙ্গায় ঝাঁপ দেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জলে ঝাঁপ দেওয়ার পরে প্রসেনজিৎ স্পিডবোটের দড়ি ধরে উপরে উঠে আসেন। কিন্তু বাকি দু’জন সোমবার রাত পর্যন্ত নিখোঁজ। খবর পেয়ে ঘাটে চলে আসেন ওই তিন জনের পরিবারের সদস্যরা। সপ্তগ্রামের বিধায়ক তথা মন্ত্রী তপন দাশগুপ্ত, চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার, হুগলি-চুঁচুড়া পুরসভার পুরপ্রধান গৌরীকান্ত মুখোপাধ্যায়-সহ জেলা প্রশাসনের কর্তারা ঘটনাস্থলে আসেন। দুর্ঘটনার পরে ওই ঘাটে ভাসান বন্ধ হয়ে যায়। সোমবার রাত পর্যন্ত ডুবুরিরা তল্লাশি চালাচ্ছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy