অবাধ: তৃণমূলের পতাকায় ছ়াড় মিলল টোল ট্যাক্সে। নিজস্ব চিত্র
ধর্মতলার সভায় না গেলেও তৃণমূলের পতাকা লাগিয়ে টোল ট্যাক্স ফাঁকি দিল অনেক যাত্রিবাহী বাস ও ছোট গাড়ি। শুক্রবার, একুশে জুলাইয়ের সারা দিন এই ছবিই দেখা গেল ধূলাগড়ি টোল প্লাজা-সহ গ্রামীণ হাওড়ার বিভিন্ন এলাকায়।
এ দিন বেলা ১১টায় হাওড়ার বাগনান বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়েছিল শ্যামবাজার-বাগনান রুটের একটি যাত্রিবাহী বাস। বাসটি তৃণমূলের সমাবেশের জন্য ‘বুকিং’ করা হয়নি, কিন্তু সেটির মাথায় লাগানো ছিল তৃণমূলের পতাকা। এ দিন সকালেই উলুবেড়িয়ায় মুম্বই রোডে কলকাতাগামী নন্দীগ্রাম-ফটক রুটের একটি যাত্রিবাহী বাসের মাথায় দেখা গেল জোড়াফুল চিহ্নিত পতাকা।
যাত্রিবাহী গাড়িতে তৃণমূলের পতাকা লাগানোর আসল কারণ বোঝা গেল ধূলাগড়ি টোল প্লাজায় গিয়ে। এ দিন দুপুর ২টো পর্যন্ত এখানে কলকাতামুখী সাতটি লেনে তৃণমূলের পতাকা লাগানো কোনও গাড়ির থেকেই টোল ট্যাক্স নেওয়া হয়নি। তখন শুধু খড়্গপুরগামী লেন থেকে টোল ট্যাক্স নেওয়া হয়েছে। ২টোর পরে বিষয়টি উল্টে যায়। তখন সভাফেরত গাড়িগুলির জন্য খড়্গপুরগামী লেন থেকে টোল নেওয়া বন্ধ হয়ে যায় এবং কলকাতামুখী লেন থেকে টোল ট্যাক্স নেওয়া শুরু হয়।
ধূলাগড়ি টোল প্লাজা সূত্রে জানা গিয়েছে, সেখান দিয়ে যাতায়াতের জন্য আপ ও ডাউন মিলিয়ে ছোট গাড়িকে ১৪৫ টাকা, মিনি বাসকে ২২৫ টাকা এবং বাস ও ট্রাককে ৪৬৫ টাকা টোল ট্যাক্স দিতে হয়। কিন্তু তৃণমূলের পতাকার সৌজন্য এ দিন অনেক গাড়ি এবং বাসের সেই টাকা বেঁচে গিয়েছে। যদিও গাড়ি ও বাস চালকেরা বিষয়টি স্বীকার করেননি। কিন্ত ধর্মতলার সমাবেশের জন্য ‘বুকিং’ করা না হলেও বাসে তৃণমূলের পতাকা উড়ছে কেন—সেই প্রশ্নের জবাব তাঁরা হেসে এড়িয়ে গিয়েছেন।
ধূলাগড়ি টোল প্লাজার এক কর্তা জানান, এ দিন সেখান দিয়ে বেলা সাড়ে ১০টা পর্যন্ত তৃণমূলের পতাকা লাগানো ৪১৫টি বাস, ২৬০টি মিনি বাস, ৭৫টি ট্রাক ও ২৭৫টি ছোট গাড়ি কলকাতার দিকে গিয়েছে। দলীয় পতাকা লাগানো ওই গাড়িগুলির থেকে টোল নেওয়া হয়নি। এর মধ্যে সভামুখী নয়, এমন অনেক গাড়িও ছিল। ওই কর্তা বলেন, ‘‘এই হিসেব থেকেই বুঝে নিন যে আজ সারা দিন কত ক্ষতি হল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy