তৈরির পর কেটে গিয়েছে চার চারটে বছর। অথচ এতদিনে একটি দোকান ঘরও চালু হল না ডোমজুড় মার্কেট কমপ্লেক্সের। অবহেলায় পড়ে থেকে নষ্ট হচ্ছে কোটি টাকার নির্মাণ। চার বছর আগে লিজ প্রক্রিয়া শুরু হলেও তা এখনও কার্যকর না হওয়ায় শেষমেশ দোকানগুলি চালু করতে ওই মার্কেট কমপ্লেক্স নিয়ে নতুন পরিকল্পনা করেছে হাওড়া জেলা পরিষদ।
মার্কেট কমপ্লেক্স চালু না হওয়ায় জেলা পরিষদের আগের বাম বোর্ডকেই দায়ী করেছে বর্তমান তৃণমূল বোর্ড। তাদের অভিযোগ, বামেদের সময়ে তৈরি এই কমপ্লেক্সটির পরিকল্পনায় ত্রুটির জন্যই সমস্যা হচ্ছে। কারণ কমপ্লেক্সের সামনেই তৈরি হয়েছে বাসস্ট্যান্ড। আর তাতেই গোল বাধছে বলে অভিযোগ। সেই কারণে জেলা পরিষদের বর্তমান তৃণমূল বোর্ড মার্কেট কমপ্লেক্সের পরিকাঠামোগত কিছু পরিবর্তন করতে চাইছে। এর জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে এক কোটি টাকা।
ব্যবসায়ীদের একাংশের অভিযোগ, বাসস্ট্যান্ডের পিছনে মার্কেট। ফলে ক্রেতাদের আসা যাওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা হবে। তা ছাড়া পরিকাঠামোগত অন্য সমস্যাও রয়েছে। জেলা পরিষদ সূত্রে খবর, ২০০৮ সালে বাম পরিচালিত জেলা পরিষদ রুরাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট ফান্ড থেকে প্রায় ১ কোটি টাকা ব্যয়ে দুটি মার্কেট কমপ্লেক্স এবং বাস ও অটো স্ট্যান্ড তৈরির পরিকল্পনা করে। ২০১২ সালে মার্কেট কমপ্লেক্স দু’টি তৈরি হয়। একটি মার্কেট কমপ্লেক্সের সঙ্গে বাসস্ট্যান্ড ও একটির সঙ্গে অটো স্ট্যান্ড তৈরি করা হয়। দুটি মার্কেট কমপ্লেক্সে প্রায় পঁচাশিটির মতো দোকান রয়েছে। এর মধ্যে অটোস্ট্যান্ডের উপরের মার্কেট কমপ্লক্সের বেশিরভাগ দোকানে ওই জায়গার পুরনো দোকানদারদের পুনর্বাসন দেওয়া হয়েছে। বাসস্ট্যান্ডের মার্কেট কমপ্লেক্সের প্রায় ৪০টি দোকানের সবকটিই পড়ে রয়েছে। তিন তলা এই মার্কেট কমপ্লেক্সের প্রথম দুটি তলায় দোকানঘর রয়েছে। তৃতীয় তলে অডিটোরিয়াম তৈরির কথা হয়। দ্বিতীয় মার্কেট কমপ্লেক্সটিতে শুধুই দোকান ঘর রয়েছে। সেখানে দ্বিতীয় তলটি এখনও অসম্পূর্ণ।
জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ কল্যাণ ঘোষ বলেন, ‘‘এক বিশেষজ্ঞ সংস্থাকে দিয়ে নতুন করে পরিকল্পনা করা হচ্ছে। রাজ্য সরকার বিশেষ তহবিল থেকে এই অর্থ বরাদ্দ করেছে।’’ সূত্রের খবর, বাসস্ট্যান্ড ও মার্কেট কমপ্লেক্স একই সঙ্গে রেখে কিংবা বাসস্ট্যান্ডটি অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে গিয়ে মার্কেট কমপ্লেক্সটি চালু করা যায় কি না খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পরিকল্পনা হাতে পেলেই পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।
পরিকল্পনায় ত্রুটি নিয়ে বর্তমান জেলা পরিষদের বক্তব্য মানতে চাননি আগের বাম পরিচালিত বোর্ড। তৎকালীন বোর্ডের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ আনন্দ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমরা ক্ষমতায় থাকাকালীন লিজের প্রক্রিয়া শুরু করেছিলাম। তারপর নির্বাচনে আমরা হেরে যাওয়ায় জেলা পরিষদ তৃণমূলের হাতে যায়। তারাই বরং কিছু করতে পারেনি। পরিকল্পনায় ত্রুটির কোনও ব্যাপার নেই। এখন কেউ নিজেদের দোষ ঢাকতে যা খুশি বলতেই পারে।’’ যদিও ডোমজুড় পঞ্চায়েত সমিতির কর্তাদের দাবি, সেই সময়েই ত্রুটির কথা জেলা পরিষদকে বলা হয়েছিল। কিন্তু তারা তা কানে নেয়নি। আজ তার ফল ভুগতে হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy