ফাইল চিত্র।
জেলা জুড়ে জল ও বিদ্যুতের দাবিতে বিক্ষোভ লেগেই রয়েছে। এ বার তাতে জুড়ল শেওড়াফুলি।
মঙ্গলবার সকালে বিদ্যুৎ ও জলের দাবিতে শেওড়াফুলিতে জিটি রোডে টানা দেড় ঘণ্টা বসে রইলেন বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান। অবরোধ তোলার জন্য পুলিশের শত অনুরোধেও তিনি অনড় ছিলেন। শেষ পর্যন্ত পুলিশ সিইএসসি-র কর্মীদের এনে মেরামতির কাজ শুরু করলে অবরোধ ওঠে।
টানা ৬ দিন জল ও বিদ্যুৎ না পেয়ে শেওড়াফুলি বেশ কিছু এলাকার মানুষ দিশাহারা। বয়স্ক ও অসুস্থ মানুষরাও সমস্যায় পড়েছেন। এ দিন কয়েকশো মানুষকে নিয়ে চাঁপদানির বিধায়ক মান্নান অবরোধ শুরু করেন সকাল ১০টায়। শেওড়াফুলি ফাঁড়ির মোড়ে ওই অবরোধে শামিল হয়েছিলেন ভুক্তভোগী বহু মানুষজন। মান্নান বলেন, ‘‘অস্থায়ী ভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া প্রয়োজন ছিল। স্থানীয় মানুষজন নিজেরা পকেটের টাকা দিয়ে গাছ কাটাচ্ছেন। সিইএসসি-র কোনও দায়িত্ব নেই? সকালে সিইএসসি-র এক কর্তার সঙ্গে কথা বলি। উনি ফোন কেটে দেন।’’ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রবীণ স্কুল শিক্ষক বলেন, 'আমার তো মনে হয় হুগলিতে প্রশাসন বলে কিছু নেই। সিইএসসিকে বারবার জানিয়েও কোনও ফল হচ্ছে না। সেক্ষেত্রে তো প্রশাসনের হস্তক্ষেপ করা উচিত ছিল। কলকাতায় সেনা নামল, আর এখানে প্রশাসন ঘুমোচ্ছে?’’সিইএসসি-র এক পদস্থ কর্তা বলেন, ‘‘একটা গাছ পড়ে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে গিয়েছিল ওই এলাকায়। তাই সমস্যা হয়েছিল। গাছ কাটা হয়ে গিয়েছে। বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করতে আমরা সব রকম চেষ্টা চালাচ্ছি।’’ জেলা প্রশাসনের এক পদস্থ কর্তা বলেন, "পুলিশ ও প্রশাসনের তরফে সিইএসসি-র সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করা হয়েছে। গাছ পড়ে, বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে গিয়েছে বহু জায়গাতেই। আসলে বহু জায়গাতেই একই পরিস্থিতি। কাজের পরিধি এত বড়, ওঁরা সামলে উঠতে পারছেন না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy