আজও বন্ধই থাকল ব্যান্ডেল চার্চের গেট। নিজস্ব চিত্র।
করোনার জন্য বড়দিনেও খোলা হল হল না ব্যান্ডেল চার্চের দরজা। প্রতি বছর বড়দিনে এই ঐতিহ্যবাহী গির্জায় বড়দিনের সকাল থেকে ভিড় জমান পর্যটকরা। কিন্তু এ বার সেই সুযোগ না পেয়ে মন খারাপ নিয়েই বাড়ি ফিরতে হল তাঁদের।
বড়দিনে সকাল থেকে পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড় সামলাতে হিমসিম খেতে হয় নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মীদের। কিন্তু এ বার বড়দিনে সকাল সকাল কিছু মানুষ চার্চের বাইরে ভিড় জমালেও তাঁরা ভিতরে প্রবেশ করতে পারেননি। ফলে পুলিশ কর্মীরাও খানিকটা চাপমুক্ত।
চার্চে আসা কিছু মানুষ গেটের বাইরেই মোমবাতি জ্বালিয়ে প্রার্থনা সেরেছেন। তবে চার্চের সামনের মাঠে সবার প্রবেশাধিকার ছিল। অন্য বারের মতো না হলেও এ বারও সামনের ওই মাঠটিকে সাজিয়ে তোলা হয়েছে আলো দিয়ে।
মার্চে লকডাউন শুরু হতেই ব্যান্ডেল চার্চ বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। এত দিন বাইরের লোকেদের প্রবেশ নিষেধ ছিল। অনেকেই হয়তো আশা করেছিলেন, বড়দিনে অন্তত চার্চের দরজা খুলে দেওয়া হবে। কিন্তু কলকাতার আর্চবিশপ বড়দিনেও চার্চ খোলার অনুমতি না দেওয়ায় বন্ধই থাকল গির্জাঘর।
অনেকেই এই পরিস্থিতিকে মনে নিয়েছেন। যেমন, হাওড়ার সালকিয়া থেকে এসেছিলেন শুভজিৎ নস্কর। তিনি বলেন, “এই প্রথম বার বন্ধুদের সঙ্গে ব্যান্ডেল চার্চ দেখতে এলাম। ভিতরে ঢুকতে না পারায় কিছুটা হতাশ। তবে এটাও মনে করি, আমাদের ভালর জন্যই বন্ধ রাখা হয়েছে। আগামী বছর সব কিছু ঠিকঠাক হলে আবার আসব। সারাদিন ঘুরব, মজা করব।" চার্চের গেটের সামনে যাঁরা টুপি বেলুন বিক্রি করেন তাঁরাও জানালেন, এ বার একেবারেই নেই বিক্রিবাটা। প্রতি বছর চার্চের পূর্ব দিকে গঙ্গার পাড়ে বসে মেলা। ভিড় জমান পিকনিক করতে আসা মানুষ। কিন্তু করোনার জন্য এ বার সব বন্ধ রাখা হয়েছে। সব মিলিয়ে করোনার জন্য এ বছর বড়দিনের চেনা ছবিটা উধাও ব্যান্ডেল চার্চে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy