প্রতীকী ছবি।
চাকরিতে নিয়োগকারী কোনও সংস্থারই কর্তাদের খোঁজ মিলছে না। যার ফলে গত কয়েক মাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না হাওড়ার বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালের ‘মাতৃযান’ প্রকল্পের অস্থায়ী কর্মী এবং নিরাপত্তারক্ষীরা। ওই কর্মীদের অভিযোগ, রাজ্য সরকার বেতন বাবদ যে টাকা পাঠিয়েছে, ওই সংস্থাগুলি তা নিয়ে পালিয়ে গিয়েছে। ক্ষুব্ধ কর্মীরা সোমবার পোস্টার, প্ল্যাকার্ড নিয়ে হাওড়ার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিশীথবরণ মণ্ডলকে বেতনের দাবিতে ঘেরাও করেন। পরে অবশ্য নিশীথবরণবাবু অভিযোগ স্বীকার করে নিয়ে বলেন, ‘‘আমি নতুন এসেছি। বেতন সংক্রান্ত সমস্যার কথা জানতে পেরেছি। স্বাস্থ্য ভবনের কাছে রিপোর্টও পাঠিয়েছি। আশা করি, কয়েক দিনের মধ্যে সমস্যা মিটে যাবে।’’
জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৮ সালের ১৮ জানুয়ারি মহিলা ও পুরুষ মিলিয়ে ৩২ জনকে নেওয়া হয়েছিল বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালের চুক্তিভিত্তিক অস্থায়ী নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে। তার পরের মাসেই বেশ ঘটা করে হাওড়ার ৯৬ জন যুবককে নেওয়া হয় ‘মাতৃযান’-এর কর্মী হিসেবে। ওই কর্মীদের অভিযোগ, প্রথম বছর বেতন পেতে কোনও অসুবিধা না হলেও গত ছ’মাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না তাঁরা। একই অবস্থা হাওড়ার বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে চাকরি পাওয়া ৩২ জন পুরুষ ও মহিলা কর্মীর। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, যে হাসপাতালগুলিতে নিরাপত্তাকর্মীদের বেতন হচ্ছে না, সেগুলি হল: বাউড়িয়া ফোর্ট গলস্টার স্টেট জেনারেল হাসপাতাল, দক্ষিণ হাওড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতাল, বেলুড় স্টেট জেনারেল হাসপাতাল এবং উদয়নারায়ণপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতাল।
ঠিকাদার সংস্থাগুলি বেতন না দিয়ে বেপাত্তা হয়ে যাওয়ায় করুণ অবস্থা হয়েছে ওই অস্থায়ী কর্মীদের। তাঁদের অভিযোগ, বেতন না পাওয়ার বিষয়টি রাজ্য ও জেলা স্বাস্থ্য দফতরকে বারবার জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। তাঁদের দাবি, বেতন না পাওয়া সত্ত্বেও কাজে বিন্দুমাত্র ঢিলে দেননি তাঁরা। নিজেদের পকেটের পয়সা খরচ করে ডিউটিতে এসেছেন। গত ছ’মাস ধরে বেতনের জন্য অপেক্ষা করার পরে এ দিন দুপুরে বুকে পোস্টার ও প্ল্যাকার্ড নিয়ে হাওড়ার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের অফিসের সামনে জড়ো হন তাঁরা। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অফিস থেকে বেরোলে তাঁকে ঘিরে ধরেন কর্মীরা।
এ দিন সারা বাংলা হাসপাতাল রোগীকল্যাণ ও অস্থায়ী ঠিকাকর্মী ঐক্য কেন্দ্রের সভাপতি বিশ্বনাথ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যে সব ঠিকাদার সংস্থা বেতন না দিয়ে কর্মীদের এ ভাবে হেনস্থা করছে, তাদের চিহ্নিত করে এফআইআর করা হবে। পাশাপাশি, বকেয়া বেতন কয়েক দিনের মধ্যে স্বাস্থ্য দফতর দিয়ে দেবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy