অবশেষে পুজোর মুখে হাসি ফুটল রাজ্যের প্রায় ৫০ হাজার শিক্ষকের। দু’মাসের বকেয়া বেতন পুজোর আগে মিলবে না বলে তাঁরা দুশ্চিন্তায় ভুগছিলেন। কিন্তু শুক্রবার রাতেই পঞ্চায়েত কর্তারা ওই শিক্ষকদের জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁদের বকেয়া বেতন সোমবার দিয়ে দেওয়া হবে। ওই শিক্ষকেরা মাধ্যমিক শিক্ষাকেন্দ্র (এমএসকে) এবং শিশু শিক্ষাকেন্দ্রগুলির (এসএসকে) সঙ্গে যুক্ত। কেন্দ্রগুলি পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতর চালায়।
‘ওয়েস্টবেঙ্গল এসএসকে-এমএসকে যৌথ শিক্ষক সমিতি’র রাজ্য সভাপতি মুকলেসুর রহমান বিশ্বাস বলেন, ‘‘শুক্রবার রাতে পঞ্চায়েত দফতর থেকে ফোন এসেছিল। জানানো হয়, শিক্ষা দফতরের কাছ থেকে বেতনের চেক এসে গিয়েছে। সোমবার শিক্ষকদের অ্যাকাউন্টে টাকা চলে যাবে।’’
রাজ্যে ১৯০০ এমএসকে এবং ১৬ হাজার এসএসকে আছে। কেন্দ্রগুলি পঞ্চায়েত দফতর চালালেও সর্বশিক্ষা অভিযান দফতর শিক্ষা দফতরের মাধ্যমে শিক্ষকদের বেতন দেয়। কিন্তু শিক্ষা দফতরের সঙ্গে পঞ্চায়েত দফতরের টানাপড়েনের জেরে মাঝেমধ্যেই ওই শিক্ষকদের বেতন অনিয়মিত হয়ে পড়ে বলে অভিযোগ। পঞ্চায়েত দফতর সূত্রের খবর, পাঁচ মাস ধরে শিক্ষা দফতর শিক্ষকদের বেতনের টাকা দিচ্ছিল না। ফলে, নিজেদের তহবিল থেকেই এই টাকা দিচ্ছিল পঞ্চায়েত দফতর। কিন্তু তাতে মাত্র তিন মাসের বেতন দেওয়া সম্ভব হয়। সেপ্টেম্বর থেকে শিক্ষকেরা বেতন পাননি। ফলে, উৎসবের মুখে তাঁরা সঙ্কটে পড়েন।
শিক্ষা দফতরের কর্তারা সমস্যার দায় চাপিয়েছিলেন পঞ্চায়েত দফতরের ঘাড়েই। এক শিক্ষা-কর্তা জানিয়েছিলেন, তাঁধের দফতরের অধীনেই এসএসকে এবং এমএসকেগুলির চলে আসর কথা ছিল। কিন্তু পঞ্চায়েত দফতর কিছু বিষয়ের ব্যাখ্যা না-দেওয়াতেই তা সম্ভব হয়নি। পঞ্চায়েত দফতর পাল্টা দাবি করে, সব প্রশ্নেরই ব্যাখ্যা দেওয়া হয়ে গিয়েছে।
এই টানাপড়েনের মধ্যে শেষ পর্যন্ত দু’মাসের বেতন হওয়ার কথা শুনে খুশি এমএসকে এবং এসএসকে-এর শিক্ষকেরা। তাঁরা চান, শিক্ষা দফতর স্কুলগুলিকে অধিগ্রহণ করুক, তাঁদের নিয়মিত বেতন দেওয়ার ব্যবস্থা করুক। বিষয়টি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁরা কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় এবং শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy