—ফাইল চিত্র
জগদ্ধাত্রী পুজোর মুখে ‘সাসপেনশন অব ওয়ার্ক’-এর নোটিস পড়ল ভদ্রেশ্বরের ডালহৌসি জুটমিলে। শুক্রবার রাতে দেওয়া ওই নোটিসে শ্রমিক অসন্তোষকে দায়ী করা হয়েছে। কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন ওই জুটমিলের প্রায় সাড়ে ৪০০০ শ্রমিক।
শ্রমিকদের অভিযোগ, খামখেয়ালিপনায় কর্তৃপক্ষ জুটমিলে কাজ বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এ দিন মিলের ম্যানেজার মন্তেশ্বর সিংহ অবশ্য জানান, আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। চন্দননগরের উপ-শ্রম কমিশনার কিংশুক সরকার বলেন, ‘‘মিল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি প্রশাসনকে জানিয়েছেন। আমরা জুটমিল কর্তৃপক্ষ-সহ সকলের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করব।’’
পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই জুটমিল প্রতি মাসের ১৬ তারিখে যন্ত্রপাতির রক্ষণাবেক্ষণের কাজ হয়। গত ১৬ অক্টোবর সেই কাজের পরে দেখা যায়, ‘ক্যালেন্ডার’ বিভাগের স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রের গতি অনেকটা বেড়ে গিয়েছে। এতে দুর্ঘটনায় আশঙ্কা প্রকাশ করে ওই বিভাগের কর্মীরা কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ হন। তাঁরা ওইসব যন্ত্রের গতি কমানোর আর্জি জানান। আন্দোলনেও নামেন। এর জেরে কাজের পরিবেশ নষ্ট করার অভিযোগ তুলে মিল কর্তৃপক্ষ গত বৃহস্পতিবার ওই বিভাগের সাত শ্রমিককে বসিয়ে দেন বলে শ্রমিকদের অভিযোগ। বসিয়ে দেওয়া শ্রমিকদের কাজে বহালের দাবিতে ওই বিভাগের সব শ্রমিক সে দিন কাজ বন্ধ করে দেন। ফলে, মিলের অন্য বিভাগ চালু থাকলেও উৎপাদন ব্যাহত হয়। তারপরে শুক্রবার রাতে ওই নোটিস। শনিবার সারাদিন শ্রমিকদের আনাগোনা থাকলেও মিলের উৎপাদন বন্ধ ছিল। ‘ক্যালেন্ডার’ বিভাগের শ্রমিক মহম্মদ সাহাবুদ্দিনের ক্ষোভ, ‘‘রোজগারের জন্য প্রাণ দিতে আসিনি। কিছু যন্ত্রের গতি এত বেড়ে গিয়েছে যে দুর্ঘটনা হতে পারে। এ কথা কর্তৃপক্ষকে জানাতে সাত জনকে বসিয়ে দেওয়া হয়। এ বার কাজ বন্ধ করে দেওয়া হল। কর্তৃপক্ষের এই খামখেয়ালিপনা মেনে নেওয়া যায় না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy