প্রতীকী ছবি।
এক সাব-ইনস্পেক্টরের (এসআই) বিরুদ্ধে তাঁরই অধস্তন এক পুলিশকর্মীর স্ত্রীকে নিগ্রহের অভিযোগ উঠল। আরও অভিযোগ, ওই সাব-ইনস্পেক্টর মত্ত অবস্থায় ছিলেন। সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার দাশনগর থানার ইছাপুর শিয়ালডাঙায়। অভিযুক্ত পুলিশ অফিসার ওই অঞ্চলে একটি বাড়িতে এসেছিলেন এক অভিযোগের তদন্তে। ঘটনাচক্রে, অভিযোগকারিণীর স্বামী এবং ওই পুলিশ অফিসার দু’জনেই দাশনগর থানায় কর্মরত।
ঘটনাটি ঠিক কী হয়েছিল? পুলিশ সূত্রের খবর, দাশনগর থানার এএসআই মিলন আচার্যের মেয়ে-জামাই শিয়ালডাঙার একটি বাড়িতে ভাড়া থাকেন। সোমবার রাতে শৌচাগারে মোবিল পড়ে থাকা নিয়ে বাড়িওয়ালার সঙ্গে তাঁদের গোলমাল হয়। এর পরেই মিলনবাবু স্ত্রী ইতি আচার্য তাঁদের হাঁসখালি পোলের বাড়ি থেকে মেয়ের বাড়িতে ছুটে যান এবং পরে দাশনগর থানায় বাড়িওয়ালার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন।
ইতির অভিযোগ, রাত প্রায় ১২টা নাগাদ তাঁর মেয়ের বাড়িতে তদন্তের জন্য আসেন দাশনগর থানার এসআই গৌতম দাস। কিন্তু তিনি এতটাই নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ছিলেন যে, ঠিক মতো দাঁড়াতে পারছিলেন না। ওই মহিলা অভিযোগে আরও জানিয়েছেন, গৌতমবাবু তাঁর ছবি তুলতে গিয়েছিলেন। তখন তিনি তাঁর মোবাইল কেড়ে নেন। এর পরেই গৌতমবাবু তাঁকে চড় মারেন। ইতির বাঁ কাঁধে আঘাত লাগে। চিকিৎসার জন্য তাঁকে প্রথমে কোনা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র, পরে সেখান থেকে হাওড়া জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ওই মহিলাকে ছেড়ে দেন চিকিৎসকেরা।
যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সাব-ইনস্পেক্টর গৌতমবাবু। তিনি বলেন, ‘‘মহিলার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। এটা ঠিক যে, আমি ওখানে তদন্তে গিয়েছিলাম। বাথরুমে কিছু পড়েছিল। সেই ছবি তোলার সময়ে মোবাইল কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন ওই মহিলা। এর বেশি কিছু হয়নি।’’
হাওড়া সিটি পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘দু’পক্ষই অভিযোগ করেছে। তদন্ত শুরু হয়েছে। যদি প্রমাণিত হয় ওই পুলিশ অফিসার মত্ত অবস্থায় তদন্তে গিয়েছিলেন, তা হলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy