আচ্ছালালের (ডানদিকে চেয়ারে বসে) বাড়িতে অর্জুন। —নিজস্ব চিত্র
তৃণমূল ছেড়ে কে বিজেপিতে ভিড়বেন, তা নিয়ে হুগলিতে রাজনৈতিক মহল সরগরম। তার মধ্যেই শ্রীরামপুর-উত্তরপাড়া ব্লকের কানাইপুর পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান আচ্ছালাল যাদবের বাড়িতে তাঁর সঙ্গে দেখা করে গেলেন ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহ।
আচ্ছালাল তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানই শুধু নন, দলের জেলা সভাপতি দিলীপ যাদবের দাদাও। ফলে, দলত্যাগের আবহে অর্জুনের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ নিয়ে জল্পনা শুরু হয়ে যায়। তৃণমূল নেতৃত্ব এই ঘটনার পিছনে বিজেপির উদ্দেশ্য দেখছেন। আচ্ছালালের দাবি, তাঁর বিজেপিতে যাওয়ার প্রশ্নই নেই। অর্জুন হঠাৎ বাড়িতে চলে আসায় তিনি সৌজন্যবশত কথা বলেন। দিলীপের অভিযোগ, তাঁর ভাবমূর্তিতে কালি লাগাতে বিজেপির ওই নেতা তাঁর দাদার বাড়িতে গিয়েছিলেন। এর জবাব তিনি রাজনৈতিক ভাবেই দিতে চান।
বৃহস্পতিবার রাতে শঙ্কুদেব পণ্ডাকে নিয়ে কানাইপুরে আচ্ছালালের বাড়িতে যান অর্জুন। আচ্ছালাল বাড়িতেই ছিলেন। তিনি তাঁদের ভিতরে ডেকে বসান। আচ্ছালালের দাবি, অর্জুন তাঁর বাড়ির কাছেই কোনও কাজে এসেছিলেন। তখনই বাড়িতে চলে আসেন। আচ্ছালালের কথায়, ‘‘ওঁরা সরাসরি বাড়িতে চলে আসেন। সৌজন্যবশত বসিয়ে কফি খাওয়াই। রাজনীতির কোনও কথাই হয়নি। আমাদের সম্বন্ধে ভুল বার্তা দেওয়াটাই ওঁদের উদ্দেশ্য।’’ দিলীপ বলেন, ‘‘বিষয়টা কানে আসতেই দলকে জানাই। দল যা বলবে, সেই অনুয়ায়ী পদক্ষেপ করব।’’
কী বলছে বিজেপি?
কেন ওই তৃণমূল নেতার বাড়িতে যাওয়া, খোলসা করেননি অর্জুন। তাঁর প্রতিক্রিয়া, ‘‘কেন গিয়েছিলাম, সেই কৈফিয়ত তৃণমূলকে দেব না।’’ শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি শ্যামল বসু বলেন, ‘‘তৃণমূলের অনেক নেতাই নানা ভাবে আমাদের দলের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। তবে এ ক্ষেত্রে সাংসদ কেন গিয়েছিলেন, জানি না।’’
এ দিকে, ডানকুনিতে দলত্যাগী নেতা দেবাশিস মুখোপাধ্যায়ের কার্যালয় নিজেদের দখলে নিল তৃণমূল। শুক্রবার দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে লাগোয়া ওই কার্যালয়ে ডানকুনির বিদায়ী উপ-পুরপ্রধান দেবাশিসের নামের বোর্ড খুলে ফেলেন স্থানীয় তৃণমূল নেতাকর্মীরা। দলের শহর সভাপতি প্রকাশ রাহা এবং যুব সভাপতি শম্ভু সাউয়ের নামের বোর্ড ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। নাম না করে দেবাশিসকে কটাক্ষ করে প্রকাশ বলেন, ‘‘তৃণমূলের কর্মীরা এখন অনেক বেশি উজ্জীবিত। তাঁরা বলছেন, লোভী লোকেরা দল থেকে চলে যাওয়ায় দলের মঙ্গল হল।’’ পক্ষান্তরে, দেবাশিসের প্রতিক্রিয়া, ‘‘আগামী দিনই বলে দেবে ওই অফিস কাদের দখলে থাকবে।’’
এ দিন চণ্ডীতলা-১ পঞ্চায়েত সমিতির খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ আলমগির মোল্লা তৃণমূল ছেড়েছেন। কর্মাধ্যক্ষ পদ থেকেও ইস্তফা দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘‘দল এবং পঞ্চায়েত সমিতির পদ ছেড়ে দিলাম। বিজেপিতে যোগ দেব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy