প্রতীকী চিত্র।
এক প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলরের কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল এলাকারই কয়েক জন তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। হাওড়ার শিবপুরে পুরসভার ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডে ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের দু’টি গোষ্ঠীর বিবাদ চরমে উঠেছে। দু’পক্ষই পরস্পরের বিরুদ্ধে শিবপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। এক পক্ষের অভিযোগ, প্রাক্তন কাউন্সিলর এত দিন জোর করে দলীয় কার্যালয়টি দখল করে রেখেছিলেন। ওই প্রাক্তন কাউন্সিলরের আবার দাবি, ওটি তাঁর ব্যক্তিগত অফিস। দলের নয়। কারণ, এত বছর ভাড়া তিনিই গুনেছেন। অথচ, তাঁকে না জানিয়ে তালা ভেঙে অন্য তালা ঝোলানো হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার সূত্রপাত গত শনিবার রাতে। এলাকার প্রাক্তন ওয়ার্ড সভাপতি কৌশিক গুপ্তের নেতৃত্বে একদল স্থানীয় তৃণমূল কর্মী ওই অফিসের পুরনো তালা ভেঙে নতুন তালা লাগিয়ে দেন বলে অভিযোগ। রবিবার ওই ঘটনার কথা জানতে পেরে শিবপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর দিলীপ ঘোষ। তাঁর দাবি, ওই অফিসটি তিনি কাউন্সিলর হওয়ার পরে অফিস হিসেবে ব্যবহার করতেন। অফিসের ভাড়া, আলোর খরচ তিনিই দেন।
দিলীপবাবু বলেন, ‘‘আমাকে না জানিয়েই প্রাক্তন ওয়ার্ড সভাপতি কৌশিক গুপ্ত গত শনিবার রাতে ওই কার্যালয়ের তালা ভেঙে সেখানে অন্য একটি তালা ঝুলিয়ে দেন।’’ দিলীপবাবু জানান, তালা ঝুলিয়ে দেওয়ায় তিনি এখন ওই অফিসে বসতে পারছেন না। ফলে ওয়ার্ডের কাজকর্ম বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বাধ্য হয়ে তিনি এ ব্যাপারে শিবপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এ নিয়ে দলের জেলা সভাপতি লক্ষ্মীরতন শুক্লর কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি।
এ দিকে, দলের প্রাক্তন কাউন্সিলরের এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে তৃণমূলের প্রাক্তন ওয়ার্ড সভাপতি কৌশিকবাবু বলেন, ‘‘ওই কার্যালয়টি ১৯৯৮ সাল থেকে তৃণমূলের কার্যালয় ছিল। প্রাক্তন জেলা সভাপতি অরূপ রায় আগে ওই অফিসে প্রতি সপ্তাহে এক দিন করে আসতেন। কিন্তু সম্প্রতি ওই অফিসটি নিজের ব্যক্তিগত অফিস হিসেবে ব্যবহার করতে শুরু করেন দিলীপবাবু। তিনি নিজেই ওই অফিসে তালা মেরে দিয়ে চলে গিয়েছেন। ওঁর বিরুদ্ধেই দলের তরফে শিবপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।’’
এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের হাওড়া জেলার চেয়ারম্যান অরূপ রায় বলেন, ‘‘এটা দলের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। বাচ্চাদের মধ্যে ঝগড়া হয়েছে। মিটে যাবে।’’ এ বিষয়ে জেলা সভাপতি লক্ষ্মীরতন শুক্লর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, “চেয়ারম্যান অরূপ রায় বিষয়টি নিজে দেখছেন। ঘটনাটি আমি শুনেছি। এ ব্যাপারে আমি ওঁর সঙ্গে আলোচনা করব।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy