মৃত তহমিনা বেগম।--নিজস্ব চিত্র
প্রায় এক মাস আগে হাওড়ার জয়পুরের রঞ্জবাড় গ্রামের মহিলা তহমিনা বেগমকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠেছিল স্থানীয় তৃণমূল কর্মী রিঙ্কু মোল্লার বিরুদ্ধে। কিন্তু এখনও পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে পারেনি। রিঙ্কু শাসকদলের লোক বলেই পুলিশ ধরছে না, এই অভিযোগ তুলে রিঙ্কুকে ধরার আর্জি নিয়ে মঙ্গলবার হাওড়া (গ্রামীণ) জেলা পুলিশ সুপার সুকেশ জৈনের দ্বারস্থ হলেন তাহমিনার স্বামী এবং শাশুড়ি।
অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চলছে এবং তাকে ধরা হবে বলে ওই পুলিশ কর্তা তহমিনার বাড়ির লোকজনকে আশ্বাস দেন। তৃণমূলের রঞ্জবাড় বুথ সভাপতি সিরাজ মোল্লা বলেন, ‘‘আইন নিজের পথে চলবে।’’
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর দশেক আগে রঞ্জবাড়ের রং মিস্ত্রি ইমাদুলের সঙ্গে তাহমিনার বিয়ে হয়। ইমাদুল কাজের জন্য প্রতিদিন কলকাতায় যাতাযাত করেন। তাহমিনা দুই ছেলেকে নিয়ে বাড়িতে একাই থাকতেন। রিঙ্কু তাঁদেরই পড়শি। পুলিশের কাছে অভিযোগে তাহমিনার মা, পাশের শেওড়াবেড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা আলেমা বিবি জানিয়েছিলেন, রিঙ্কু মেয়ের বাড়িতে গিয়ে নানা অজুহাতে টাকা চাইত। গত ১৮ নভেম্বর ইমাদুল গিয়ে মেয়ের কাছে গলার হার চায়। তহমিনা দিতে অস্বীকার করেন। এ নিয়ে দু’জনের বচসা হয়। তার পরেই তহমিনার গায়ে কেরোসিন ঢেলে তাঁকে পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
আলেমা বিবি জানান, মেয়ের অগ্নিদগ্ধ হওয়ার খবর পেয়ে তিনি সেখানে যান। তহমিনাকে প্রথমে স্থানীয় নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই রাতেই স্থানান্তরিত করানো হয় কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে। গত ৩০ সেপ্টেম্বর সেখানেই তহমিনা মারা যান। যে দিন তহমিনা অগ্নিদগ্ধ হন সে দিনই তাঁর মা জয়পুর থানায় রিঙ্কুর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান। পুলিশ তার বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে। পরে তহমিনা মারা যাওয়ায় রিঙ্কুর বিরুদ্ধে খুনের মামলাও রুজু হয়। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশও জানায়, গোপন জবানবন্দিতে তহমিনা জানিয়েছিলেন, রিঙ্কুই তাঁকে পুড়িয়ে দিয়েছে।
কিন্তু এখনও রিঙ্কু ধরা না পড়ায় তহমিনার স্বামী এবং মা হতাশ। আলিমা বলেন, ‘‘রিঙ্কু তৃণমূল করে। গীতাঞ্জলি প্রকল্পে বাড়ি করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে সে মেয়ের কাছে এসে নানা অজুহাতে টাকা-গয়না চাইত।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy