ক্ষোভ: ঘেরাও চলছে পুরসভায়। —নিজস্ব চিত্র
মাঝ ডিসেম্বরেও জল নামেনি বৈদ্যবাটী পুরসভার ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাজিপাড়ার বিস্তীর্ণ এলাকার রাস্তা থেকে। সেই জল দ্রুত বের করার দাবিতে বৃহস্পতিবার পুরসভা ঘেরাও করলেন ওই এলাকার বাসিন্দারা। পরিস্থিতি সামলাতে ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে। শেষে পুর-কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
এ দিন সকাল ১০টা নাগাদ কয়েকশো মানুষ পুরভবনের সামনে জড়ো হন। ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের ফরওয়ার্ড ব্লক কাউন্সিলর মানোয়ার হোসেনও সেখানে হাজির হন। অবিলম্বে জমে থাকা জল বের করার ব্যবস্থা করার দাবি ওঠে। মহিলারা পুরভবনে ঢোকার রাস্তায় বসে পড়েন। বিক্ষোভকারীদের জমায়েতে পুরকর্মীরা দফতরে ঢুকতে পারেননি। বেলা পৌনে ১২টা নাগাদ পুরপ্রধান অরিন্দম গুঁইন পুরসভায় আসেন। তাঁর কাছে ক্ষোভের কথা জানানো হয়। পুরপ্রধান তাঁদের আশ্বস্ত করেন, সমস্যা সমাধানে শীঘ্রই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর পরেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
পুরপ্রধান পরে বলেন, ‘‘ওখানে নিকাশির সমস্যা রয়েছে। একটি পুকুরের জল বেরনোর রাস্তা না থাকাতেই এই পরিস্থিতি। স্থায়ী সমাধানের চেষ্টা করছি। আপাতত, কাঁচা নর্দমা কেটে জমা জল বের করে দেওয়ার চেষ্টা করা হবে। সেই মর্মে ঠিকাদারকে নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। জল যাতে চাষের জমিতে না-পড়ে তা-ও দেখতে হবে।’’ ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বলেন, ‘‘আমার ওয়ার্ডের বাসিন্দারা সত্যিই অসুবিধায় রয়েছেন। সুষ্ঠু নিকাশি ব্যবস্থাই নেই এখানে। সেই জন্য প্রতিবেশীদের মধ্যেই ঝগড়াঝাঁটি লেগে থাকছে। পুরপ্রধান বলেছেন, শীঘ্রই জল বের করার ব্যবস্থা করা হবে। পাকাপাকি ভাবে সমস্যা মেটাতে কিন্তু খাল পর্যন্ত নর্দমা করতে হবে।’’
বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, ২৩ নম্বর ওয়ার্ড এবং পাশের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের মাঝে একটি পুকুর রয়েছে। সেই পুকুরের জল দু’টি এলাকা দিয়ে যায়। কয়েক মাস আগে ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের লোকজন সেই দিকের নর্দমা বন্ধ করে দেন। এর ফলে সমস্ত জল জমে ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে। ওই ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের অভিযোগ, চার মাস ধরে সেখানে জল দাঁড়িয়ে রয়েছে। দিন কুড়ি আগে বিষয়টি নিয়ে দুই পাড়ার লোকেদের মধ্যে বচসা হয়। দুই ওয়ার্ডের কাউন্সিলরও এলাকাবাসীর সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন। সেই সময়েও পুর-কর্তৃপক্ষের তরফে সমস্যা সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপের আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি বলে তাঁদের অভিযোগ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy