E-Paper

মোটরবাইকে চড়ে এসে গুলি করে চলে গেল

আমার বাড়ি রায়গঞ্জে। কর্মসূত্রে থাকি ইংরেজবাজার শহরে। মহানন্দা পল্লি পাইপ ফ্যাক্টরি এলাকায় টোটোর শো-রুমে কাজ করি।

দুলাল সরকার।

দুলাল সরকার। নিজস্ব চিত্র।

এরশদ আলি (প্রতক্ষদর্শী)

শেষ আপডেট: ০৩ জানুয়ারি ২০২৫ ০৬:৫৫
Share
Save

ওরা এল আর চোখের সামনে পর পর গুলি চালিয়ে চলে গেল! চোখের সামনে এমন ঘটনা, এখনও অবিশ্বাস্য মনে হচ্ছে!

আমার বাড়ি রায়গঞ্জে। কর্মসূত্রে থাকি ইংরেজবাজার শহরে। মহানন্দা পল্লি পাইপ ফ্যাক্টরি এলাকায় টোটোর শো-রুমে কাজ করি। প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবারও আমি আর আমার সহকর্মী সুজন মণ্ডল সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ শো-রুম খুলেছিলাম। শো-রুমের উল্টো দিকেই তৃণমূল কাউন্সিলর দুলাল সরকারের প্লাইউড ফ্যাক্টরি। রোজ উনি সকাল ১০টা নাগাদ নিজের চার চাকার গাড়িতে আসতেন, বেলা ১১টা নাগাদ বেরিয়ে যেতেন। এ দিনও সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ কারখানার কাছে নির্মীয়মাণ আবাসনের সামনে গাড়ি থেকে নামেন। চালক গাড়ি পার্ক করতে সামান্য এগিয়ে যান। পিছন থেকে আচমকা মোটরবাইকে আসা চার জন দুলালবাবুকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে শুরু করে। উনি ছুটে আমাদের শো-রুমের দিকে আসতে থাকেন। শো-রুমের সিঁড়িতে ওঠার আগে আরও এক বার গুলি করা হয়। সেই অবস্থায় উনি দৌড়ে শো-রুমে ঢোকেন। তখন দু’জন আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে তাঁর পিছনে ছুটে আসে, আবারও গুলি করে শো-রুম থেকে বেরিয়ে যায়।

কী ঘটছে, বুঝে উঠতে না পেরে আমি আর আমার সহকর্মী আতঙ্কে শো-রুম থেকে ছুট লাগাই। দুলাল সরকারকে গুলি করে আগ্নেয়াস্ত্র উঁচিয়ে দুষ্কৃতীদের তিন জন বাইকে চেপে মালদহ শহরের দিকে যায়। আর এক জন কোথায় গা ঢাকা দেয়, বুঝতে পারিনি। ঘটনার সময় থরথর করে কাঁপছিলাম! কী করব, বুঝেই উঠতে পারিনি। জীবন বাঁচাতে শো-রুম ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলাম। তবে দুষ্কৃতীরা চলে যাওয়ার পরে জখম দুলালবাবুকে হাসপাতালে পাঠানোর কাজে আমিও হাত লাগাই। এখনও আতঙ্ক তাড়া করে বেড়াচ্ছে। আমার পরিবারের লোকজনও আমায় নিয়ে খুব চিন্তিত।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

TMC Malda

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

এটি একটি প্রিন্ট আর্টিক্‌ল…

  • এমন অনেক খবরই এখন আপনার হাতের মুঠোয়

  • সঙ্গে রোজ পান আনন্দবাজার পত্রিকার নতুন ই-পেপার পড়ার সুযোগ

  • ই-পেপারের খবর এখন শুধুই ছবিতে নয়, টেক্সটেও

প্ল্যান সিলেক্ট করুন

মেয়াদ শেষে নতুন দামে আপনাকে নতুন করে গ্রাহক হতে হবে

Best Value
এক বছরে

৫১৪৮

১৯৯৯

এক বছর পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।
*মান্থলি প্ল্যান সাপেক্ষে
এক মাসে

৪২৯

১৬৯

এক মাস পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।