ফাইল চিত্র।
বহির্বিভাগে এ বার নেশামুক্তির আলাদা চিকিৎসা কেন্দ্র চালু হল হাওড়া জেলা হাসপাতালে। তামাক, গুটখা, মদ, গাঁজার নেশায় আসক্ত বহু মানুষ অসুস্থ হয়ে প্রায়ই আসেন এই হাসপাতালে। ওই সমস্ত রোগীর পরিজনেরা চিকিৎসকদের কাছে জানতে চান, নেশামুক্তির কোনও উপায় আছে কি না। কারণ, সাংসারিক অশান্তি বা দাম্পত্য কলহের বহু ঘটনার পিছনেই থাকে এই নেশাগ্রস্ততা। হাওড়া জেলা হাসপাতাল চত্বরের একাধিক জায়গায় পোস্টার লাগিয়ে নেশা ছাড়ানোর জন্য বহির্বিভাগের ওই কেন্দ্রে যেতে আবেদন জানানো হয়েছে।
রাস্তাঘাটে আজকাল যত্রতত্র বিভিন্ন বেসরকারি নেশামুক্তি কেন্দ্রের বিজ্ঞাপন চোখে পড়ে। কিন্তু ওই সব কেন্দ্রে বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতিতে ঠিকঠাক চিকিৎসা হয় কি না, তা নিয়ে সংশয় থেকেই যায়। তা ছাড়া, বেসরকারি কেন্দ্রের খরচও অনেক। সেই কারণেই বেসরকারি ফাঁদে পা না দিয়ে মানুষ যাতে সরকারি হাসপাতালে নেশামুক্তির চিকিৎসার জন্য আসেন, এ বার তারই প্রচার শুরু করেছে হাওড়া জেলা হাসপাতাল। হাসপাতালের মেন বিল্ডিং-এ চালু হয়েছে নতুন ওই কেন্দ্র।
এ বিষয়ে হাসপাতালের সুপার নারায়ণ চট্টোপাধ্যায় বললেন, ‘‘প্রতিদিন সকালে বহির্বিভাগের ৬বি নম্বর ঘরে নেশামুক্তির চিকিৎসা হচ্ছে। সেখানে এক জন চিকিৎসক, এক জন মনস্তত্ত্ববিদ এবং এক জন কাউন্সেলর থাকছেন। কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে নেশা ছাড়ানোর চেষ্টা করার পাশাপাশি প্রয়োজনে বিভিন্ন ওষুধপত্রও দেওয়া হচ্ছে এখান থেকে।’’ সুপার জানান, এখন প্রতিদিন গড়ে ১০-১২ জন মানুষ আসছেন চিকিৎসা ও কাউন্সেলিং করাতে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, এই নতুন কেন্দ্র সম্পর্কে মানুষ যাতে ওয়াকিবহাল থাকেন, তার জন্য হাসপাতালের ভিতরে পোস্টার, ব্যানার লাগানো হয়েছে।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের এক কর্তা বলেন, ‘‘নেশা ছাড়ানোর চিকিৎসার নামে নানা ভুয়ো প্রতিষ্ঠান মানুষকে প্রতারণা করছে। মানুষ যাতে ওই সব ফাঁদে না পড়েন, তার জন্যই সরকারি হাসপাতালে বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতিতে এই চিকিৎসা শুরু করা হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy