অনুসন্ধান: ঘটনার তদন্তে পুলিশ। নিজস্ব চিত্র
জমি নিয়ে বিবাদে অবসরপ্রাপ্ত এক স্কুল-শিক্ষককে মারধর, বাড়িতে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠল প্রোমোটার ও তাঁদের দলবলের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার সকালে হুগলির ভদ্রকালীর ঘটনা। পুলিশের দাবি, অভিযুক্তরা পলাতক। তাদের খোঁজ চলছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, বছর কয়েক আগে ভদ্রকালীতে কয়েক কাঠা আয়তনের একটি জমি কেনেন প্রোমোটাররা। পাশেই নীহারকান্তি পাল নামে ওই শিক্ষকের বাড়ি। তাঁর দাবি, তাঁদের জমির একাংশ দখল করতে চাইছেন ঠিকাদাররা। বিষয়টি নিয়ে আদালতে মামলা চলছে। পাল পরিবারের অভিযোগ, এ দিন সকাল সাতটা নাগাদ সদলবলে বিজয় দাস এবং প্রদীপ ভট্টাচার্য নামে দুই প্রোমোটার বাড়িতে চড়াও হয়। মামলা তুলে নেওয়ার দাবি জানায়। কিন্তু ওই পরিবারের লোকেরা জানান, তাঁরা আদালতের উপরেই ভরসা রাখবেন।
অভিযোগ, তখনই প্রোমোটারের লোকেরা সত্তরোর্ধ্ব ওই শিক্ষককে মারধর করে। তাঁর ভাই চন্দনকান্তি প্রতিবন্ধী। তাঁর স্কুটার ভাঙা হয়। পাইপ ভেঙে জলের সংযোগ কেটে দেওয়া হয়। বাড়ির জানলার কাচ, গাছের টব ভাঙচুর করা হয়। চন্দনবাবু বলেন, ‘‘আমার প্রতিবন্ধকতা নিয়ে কটাক্ষ করা হয়। বোনকেও গালিগালাজ করা হয়। আমরা আতঙ্কিত।’’
নীহারবাবুর মাথায়, হাতে আঘাত লাগে। তিনি উত্তরপাড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নীহারবাবু। তিনি বলেন, ‘‘আমরা আইনের উপরেই ভরসা রাখছি।’’ চন্দননগর কমিশনারেটের আধিকারিকরা জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। দোষীদের ধরার চেষ্টা চলছে।
বিজয় অবশ্য অভিযোগ মানেননি। তিনি বলেন, ‘‘নীহারবাবুরা লোকজন এনে ভোরবেলায় আমাদের কেনা জমিতে লাগানো টিন, শালবল্লা, তারজালির বেড়া ভেঙে ফেলেন। কিছু জিনিস সরিয়ে ফেলা হয়। কিছু সরানো হচ্ছিল। সেই খবর পেয়ে সকালে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। প্রতিবাদ করি। ওঁরা যা বলছেন, সব সাজানো। কেউ ওঁদের মারধর করেনি। ভাঙচুরও করা হয়নি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy