ক্ষোভ: পথ দুর্ঘটনায় পরে ট্রাকে আগুন লাগিয়ে দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ছবিটি তুলেছেন মোহন দাস
পথ দুর্ঘটনায় কলেজ শিক্ষকের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে তেতে উঠল আরামবাগ শহর সংলগ্ন পারুল এলাকা। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হল একটি ট্রাকে। রবিবার দুপুরের ঘটনা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন দুপুরে মোটরবাইকে করে যাচ্ছিলেন স্থানীয় নেতাজি মহাবিদ্যালয়ের অঙ্কের শিক্ষক হরেকৃষ্ণ সামন্ত (৫৬) এবং তাঁর স্ত্রী চন্দ্রলেখাদেবী। এ দিন ওই কলেজ শিক্ষক তাঁর আরামবাগের উত্তর রবীন্দ্রপল্লির বাড়ি থেকে স্ত্রীকে নিয়ে দেশের বাড়ি স্থানীয় বামশা গ্রামে যাচ্ছিলেন। পিছন থেকে দ্রুতগতিতে আসা একটি ট্রাক তাঁদের ধাক্কা দেয়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় হরেকৃষ্ণবাবুর। তাঁর স্ত্রী আহত হন।
দুর্ঘটনার পরে স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ ঘাতক ট্রাকটিকে আটক করে আগুন ধরিয়ে দেয়। দমকলের দু’টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে এসে আগুন নেভায়। গোলমালের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান আরামবাগের এসডিপিও হরেকৃষ্ণ পাই। পুলিশ যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণের আশ্বাস দিলে বিক্ষোভ ওঠে। মৃত শিক্ষকের স্ত্রীকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে আরামবাগ মহকুমা হাসপাতাল ভর্তি করানো হয়। পরে তাঁকে কলকাতার একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয়েছে। পুলিশ দেহটি ময়না তদন্তে পাঠিয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, গত মে মাস থেকে আরামবাগ শহরের গৌরহাটি মোড় থেকে মায়াপুর পর্যন্ত রাস্তায় কমপক্ষে ২৫টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। মৃত্যু হয়েছে কয়েকজনের। মহকুমার অন্যতম দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকা বলে ওই এলাকাটিকে চিহ্নিত করেছে প্রশাসন। কিন্তু তারপরেও দুর্ঘটনা কমেনি। রবিবারের দুর্ঘটনাটিও ওই রাস্তাতেই হয়েছে। গাড়ির অতিরিক্ত গতি, যান নিয়ন্ত্রণের সঠিক ব্যবস্থা না থাকার জন্যই এই অবস্থা বলে দাবি বিক্ষোভকারীদের।
আরামবাগের এসডিপিও হরেকৃষ্ণ পাই বলেন, “আমরা ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার জন্য আমরা ২ জন অফিসার চেয়েছি। সেটি অনুমোদনও হয়ে গিয়েছে। পথ দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy